আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ও উপ-মহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আজ। সকাল থেকেই খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলে ভীড় জমাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হবে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, রাজু ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলের দিকে এগোচ্ছেন। এসময় উচ্চস্বরে, ‘এবারের সমাবেশ সফল হোক, জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু, দিয়েছি তো রক্ত ; আরো দিব রক্ত, এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ্য মুজিব লড়াই করে, মুজিব আমার বিশ্বাস, মুজিব আমার চেতনাসহ নানা কিছু বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের সম্মেলনে যোগ দিতে দেখা গেছে। বগুড়া জেলা থেকে আগত ছাত্রলীগের একটি মিছিল সমাবেশস্থলে প্রবেশের সময় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর সাথে কথা হয়।
তাঁরা জানান, ৩০তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে আর দেশনেত্রীকে এক পলক দেখতেই তাঁরা ঢাকা এসেছেন। তাঁদের প্রত্যাশা এবারের সম্মেলন সফল হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের ১১ এবং ১২ মে। তখন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরবর্তীতে নানা অভিযোগ উঠলে পদ থেকে সরিয়ে এরপর ২০১৯ সালে পদাধিকারবলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক হন ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। কয়েক মাস দায়িত্ব পালনের পর প্রধানমন্ত্রী তাদের ভারমুক্ত করে দেন।