সেই ২০০২ সালে ইউরোপের দেশ জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর কেটে গেছে ২০ বছর। এই দুই দশকে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি একবারও উঠতে পারেনি ফাইনালে। সর্বোচ্চ দৌড় ছিল সেমিফাইনাল।
২০০৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে; ২০১০ বিশ্বকাপে সেই একই পর্বে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে; ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে সেই দুঃসহ ৭-১ গোলে হারের পর স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-১ গোলে হেরে চতুর্থ হয়; আর সবশেষ ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল, তবু ফ্রান্সের কাছে ২০০৬ বিশ্বকাপে হারের পর নকআউট পর্বে কোন ইউরোপীয় দেশের বিপক্ষে জয় পায়নি সেলেসাওরা। প্রতিবারই তাদের বিদায় করে দিয়েছে ইউরোপের কোন না কোন দেশ।
কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে দেওয়ার পর কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি ইউরোপের আরেক দেশ ক্রোয়েশিয়া।
গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ দলটিকে হারিয়ে ব্রাজিলের সামনে এবার গত দেড় দশকের অপ্রাপ্তি ঘুচানোর সুযোগ।
ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে অবশ্য হারের ইতিহাস নেই ব্রাজিলের। চারবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। এখানে তিন জয় ব্রাজিলের, অপরটি ড্র, ২০০৫ সালে এক প্রীতি ম্যাচে। বিশ্বকাপে দুইবার দেশ দুটি পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছিল, যেখানে প্রথমবার ব্রাজিল জিতেছিল ১-০ গোল, এবং দ্বিতীয়বারের জয় ছিল ৩-১ গোলের।
এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে ৩টিতে জিতেছে, অপর ম্যাচ হেরেছে ক্যামেরুনের কাছে। ক্রোয়েশিয়া এবার চার ম্যাচের মধ্যে দুইটিতে জিতেছে, দুই ম্যাচ করেছে ড্র। এই দুই জয়ের মধ্যে একটি কেবল নব্বই মিনিটের খেলায়, অপরটি শেষ ষোলোতে জাপানের বিপক্ষে টাইব্রেকারে।
বিশ্বকাপের সবক'টি আসরে খেলা একমাত্র দেশ ব্রাজিল পারবে কি এবার ইউরোপ-জুজু কাটিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে? জানা যাবে আজ রাতে আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে।