বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বড় সমস্যায় পড়তে পারে আর্জেন্টিনা। শাস্তির কোপে পড়তে পারেন লিওনেল মেসি।
সংবাদমাধ্যম ‘ইনসাইড স্পোর্ট’ সূত্রে খবর, ফিফা মেসির বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটির রিপোর্ট তলব করেছে। নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের শেষে মেসি ডাচ কোচ লুই ফান গালের সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এক ডাচ ফুটবলারের সঙ্গেও ঝগড়া করতে দেখা যায় তাকে।
শুক্রবার আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলের ফুটবলাররা দফায় দফায় ঝামেলায় জড়ান। রেফারি একের পর এক হলুদ কার্ড দেখানোর কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক সময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন।
আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তার পরেই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক নিজেও নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান গালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস ডাচ কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এর তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
এই প্রেক্ষিতে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। সেক্ষেত্রে মেসি দোষী সাব্যস্ত হলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তাকে না-ও দেখা যেতে পারে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফিফা ১২ এবং ১৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই অনুচ্ছেদগুলোতে খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ম্যাচে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি ডাচ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধেও ১২ অনুচ্ছেদ মেনে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে মেসির বিরুদ্ধে শাস্তির খাঁড়া নামার যে আশঙ্কা, তার আরও একটি কারণ আছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্টোনিও ম্যাথু লাজের সমালোচনা করেছিলেন মেসি। তিনি নাকি এও বলেন যে, লাহোজ নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেফারি শুনে তিনি আগেই থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি জানতেন ওই রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ সেই ইতিহাস আছে।