কাতার বিশ্বকাপ এসে পৌঁছেছে সেমিফাইনালের মঞ্চে। আর এক ধাপ পড়েই পরম আকাঙ্ক্ষিত সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরার লড়াইয়ে নামবে সেমিফাইনাল জয়ী দুই দল। সেই লড়াইয়ের জয়ী দলই শেষ পর্যন্ত পাবে বিশ্বজয়ের অতুলনীয় স্বাদ।
কাতার বিশ্বকাপের ৬৪ ম্যাচের মধ্যে ৬০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি শুধু দুই সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী আর ফাইনাল ম্যাচ। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইগুলো মাঠে গড়ানোর আগে ফিফা কাতার বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সর্বশেষ সংযোজন নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচেই ব্যবহৃত হয়েছে আল রিহলা বল। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কাতার বিশ্বকাপের বাকি চার ম্যাচে ব্যবহার করা হবে নতুন বল। নতুন এই বলের নাম আল হিল্ম, বঙ্গানুবাদে যার অর্থ “স্বপ্ন”।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা। ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই বল তৈরি করে আসছে ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। সেই ধারাবাহিকতায় আল রিহলা বলটিও তৈরি করেছিল জার্মান বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি। আল হিল্মের প্রস্তুতকারকও অ্যাডিডাসই।
আল হিল্ম বলটি তৈরি করতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদান ব্যবহার করা হয়নি। বরং প্রথমবারের মতো বলটির নির্মাণ প্রণালীতে ব্যবহৃত হয়েছে পানি দিয়ে তৈরি সব গ্লু এবং রং। বলের নকশায় রাখা হয়েছে ত্রিভুজাকৃতির প্যাটার্ন। সেই সঙ্গে আয়োজক কাতারের রাজধানী দোহার চারপাশের চকচকে মরুভূমির পরিচায়ক হিসেবে রয়েছে সোনালী আভাও।
আল রিহলার মতো আল হিল্ম বলেও কানেক্টেড বল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এর ফলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) এবং সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তির মাধ্যমে ম্যাচ অফিসিয়ালরা দ্রুত এবং আরও সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
আগামী মঙ্গলবার কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবং গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। পরদিন আল বাইত স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং প্রথম আরব আফ্রিকান দল হিসেবে শেষ চারে আসা মরক্কো। দুই সেমিফাইনালে জয়ী দল আগামী ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফাইনালে পরস্পরের মোকাবিলা করবে।