শিরোপার সঙ্গে কোনোই সম্পর্ক নেই, তবুও গোটা ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ করে গেল দুদল। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী এই ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া জিতল ২-১ ব্যবধানে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর তৃতীয় স্থানে শেষ করল ক্রোয়েশিয়া।
শুরু থেকেই দুই দলই একের পর এক আক্রমণ করেছে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। প্রথম থেকে মরক্কোকে চাপ রাখার চেষ্টা করছিল ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের সাত মিনিটেই ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন জসকো গাভার্দিয়ল। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লুকা মদ্রিচের ফ্রিকিক হেডে গোলমুখে ক্রস করেন ইভান পেরিসিচ। চলতি বলে হেড করে গোল করেন গাভার্দিয়ল। তার দু’মিনিট পরে গোল মরক্কোর। সমতা ফেরায় সেই ফ্রিকিক থেকেই। হাকিম জিয়েচ ফ্রিকিক নিয়েছিলেন। মায়ের ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছন দিকে হেড দেন। সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন দারি।
প্রথমার্ধে শেষ হওয়ার আগেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। মরক্কো বক্সে একাধিক পাস খেলেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা। বক্সের কোনাকুনি জায়গা থেকে দারুণ শটে গোল করেন মিরোস্লাভ ওরসিচ। পোস্টে লেগে জালে জড়ায় বল।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু'দল। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান আশরাফ হাকিমি। তবে তা ক্লিয়ার করে দেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন নিকোলা ভ্লাসিচ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। এরপর ম্যাচের ৭৪ মিনিটে হাকিমি বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকলেও তা ক্লিয়ার করে দেয় ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন নাসেরি। কিন্তু তা অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন ডমিনিক লিভাকোভিচ। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হাকিমিকে ফেলে দিলে পেনাল্টির আবেদন জানায় মরক্কো। তবে তা নাকচ করে দেন রেফারি। ম্যাচের ৮১ মিনিটে কর্নার পায় ক্রোয়েশিয়া। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
এরপর একাধিক আক্রমণ করেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় দু'দল। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া।