কাতার বিশ্বকাপের অন্তিম সুর বাজছে। আজ রোববার ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসরের।
ফাইনালে কে জিতবে, এই আলোচনার সঙ্গে আছে বিশ্বকাপে কে ‘গোল্ডেন বুট’, ‘গোল্ডেন বল’ ও ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জিতবেন সেটা নিয়েও। বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোলদাতাই পান গোল্ডেন বুট, বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার পান গোল্ডেন বল, আর সেরা গোলকিপারের হাতে ওঠে গোল্ডেন গ্লাভস।
কাতার বিশ্বকাপ ‘গোল্ডেন বুট’ জেতার লড়াইয়ে আছেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিরুদ ও হুলিয়ান আলভারেজ।
এবারের বিশ্বকাপে মেসি ও এমবাপে দুজনেরই ৫টি করে গোল করেছেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ফের ফ্রান্স আর আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা; অলিভিয়ের জিরুদ ও হুলিয়ান আলভারেজ। তাদের দুজনের গোল সমান ৪টি করে।
বিশ্বকাপে ফাইনালের আগ পর্যন্ত লিওনেল মেসি গ্রুপ পর্যায়ে সৌদি আরবের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর গোল করেছিলেন মেক্সিকোর বিপক্ষেও। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে এবং সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মেসি।
এদিকে কিলিয়ান এমবাপের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম গোল করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ফের জোড়া গোল করার পর কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গোলের দেখা পাননি এমবাপে।
মেসি ও এমবাপে সমান ৫ গোল করলেও একদিক থেকে এগিয়ে আছেন মেসি। কিলিয়ান এমবাপে যেখানে অ্যাসিস্ট করেছেন ২টি, সেখানে মেসির অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৩।
মেসি ও এমবাপে ৫ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন ঠিক, তবে তাদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে হুলিয়ান আলভারেজ ও অলিভিয়ের জিরুদের সামনেও। চমকের বিশ্বকাপে তারা শেষ মুহূর্তে বড় কোন চমক দেখিয়ে গোল্ডেন বুট জিতে নিলে অবাক হওয়ার কিছু কি থাকবে?
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে এই গোল্ডেন বুট পুরস্কারের নামকরণ করে ফিফা। এরআগে ১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্বকাপে এই পুরস্কারের নাম ছিল ‘গোল্ডেন শু’।
গোল্ডেন বুট দেওয়া হয় সেই খেলোয়াড়কে, যিনি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করেন। যদি একাধিক খেলোয়াড় সমসংখ্যক গোল করেন, তবে বিবেচ্য হয় অ্যাসিস্ট সংখ্যা। এরপর হিসাব আসে কে কতক্ষণ খেলেছেন। তার মধ্যে যে সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করবেন, তিনিই গোল্ডেন বুট পাবেন।
এবারের বিশ্বকাপে মেসি এবং এমবাপের দুজনেরই গোলসংখ্যা ৫। তবে অ্যাসিস্টে এগিয়ে মেসি। আবার কম সময়ের বিচারে এগিয়ে এমবাপে। ফাইনালের আগ পর্যন্ত মেসি খেলেছেন ৫৭০ মিনিট। আর এমবাপে খেলেছেন ৪৭৭ মিনিট।