বিশ্বকাপের পর থেকেই রাজনীতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব আল হাসান। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। সংগ্রহ করেন ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২ আসনের মনোনয়ন ফরম। একটি আসন নিশ্চিত করতে গত কদিন ধরেই বেশ দৌড়ঝাঁপ করেছেন তিনি।
দেখা করে এসেছেন আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। মনোনয়ন পত্র ঘোষণা দেওয়ার দিনও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। তার সেই চেষ্টা বৃথা যায়নি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে তাকে। এদিন কেবল সাকিব নয় ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটি।
সাকিব যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সে আভাস মিলছিল আগে থেকেই। এশিয়া কাপ চলার সময়ও মাঝে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এরপর বিশ্বকাপ শেষে দেশে এসেই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হতে দেখা যায় তাকে।
গত ১৮ নভেম্বর ৩টি আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এরপর ২১ নভেম্বর রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে সেই ফরম নিজেই জমা দেন সাকিব। ওখানেই থেমে থাকেননি। এরপর নিজের জন্য একটি আসন নিশ্চিত করতে গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব। আধা ঘণ্টার ওই বৈঠকেই অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেন নিজের আসনটি। এরপরও ধোঁয়াশা ছিল।
সেটিও মনোনয়ন প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই সেরে ফেলেন সাকিব। ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে সকালে গণভবনে ছুটে যান। সেখানে তার সাথে আগে থেকেই ছিল সাবেক অধিনায়ক ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের আসন নড়াইল-২ আসন থেকে তিনিও পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এরপর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ৭ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।