বিশ্বজুড়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলোর বেশিরভাগেই স্পন্সর হিসেবে দেখা যায় বিভিন্ন জুয়ার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন। একমাত্র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কখনোই বেটিং কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেনি এবং বিজ্ঞাপনও দেয়নি।
ফ্রাঞ্চাইজি লিগে স্পন্সর হিসেবে আয়োজকরা যেকোনো ধরণের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই কাজ করতে পারে। এ বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা কখনো আসেনি। এবারের বিপিএল আসরে একের অধিক বেটিং সাইট স্পন্সর হিসেবে যোগাযোগ করেছে, এমনটাই জানা গেছে বিসিবি কর্মকর্তাদের মুখ থেকে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের কাছে বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার জানান, 'বেটিং সাইটগুলোকে বাইরে রেখে টুর্নামেন্ট চালানো আজকাল কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের স্পন্সরের ভূমিকায় আনা হতে পারে।'
তার এই কথা থেকে আভাস পাওয়া যায় যে, আগামীতে বিপিএলেও কোনো না কোনো বেটিং ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখা যাবে। ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়া নতুন কিছু নয়। বিশের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই বেটিং ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। কারণ এতে আয়োজকরা আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হতে পারে। একই পথে এবার বিসিবিও হাঁটছে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।