১৮৭ রান করে বরিশাল যতটুকু স্বস্তি পেয়েছিল, তা খুলনা ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারেই উবে গিয়েছিল। বিপিএল ইতিহাসে পাওয়ার প্লে’তে রেকর্ডসংখ্যক রান করে বড় রান তাড়ায় খুলনাকে ‘পারফেক্ট’ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার এভিন লুইস এবং অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তাদের দেয়া সে ভিত কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে বরিশালকে ধরাশায়ী করেছে খুলনা। টানা দুই ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে তারা।
দুই ওপেনারের ব্যাটেই জয়ের গল্প লিখেছে খুলনা। শুরু থেকেই বরিশালের বোলারদের পরিস্কারভাবে লুইস এবং এনামুল কচুকাটা করেন। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বিপিএলের রেকর্ড ৮৭ রান তোলে দলটি।
লুইসের ফেরার পর রান তোলার গতি কিছু সময়ের জন্য একটু মন্থর হলেও অধিনায়ক বিজয় ক্রিজে অটল ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার ৪৪ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত হার না মানা ইনিংসে জয়ের বন্দরের খোঁজ পেয়েছে খুলনা।
আফিফ হোসেন ৪১ এবং শেই হোপ ১০ বলে ২৫* রানের ক্যামিও ইনিংসে দলের জয় ত্বরান্বিত করেছেন। তাদের সম্মিলিত নৈপুণ্যে ২ ওভার হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে এনেছে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে আগে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান খুলনা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। শুরুতেই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে (১১) হারালেও প্রথমে সৌম্য সরকার এবং পরে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে রানের চাকা ঘোরান তামিম।
ব্যক্তিগত ৪০ রানে তামিম সাজঘরে ফেরার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। অবশ্য ক্রিজে আসার পর থেকেই মারমুখী ঢংয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। তামিম ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে বরিশালকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যান তিনি।
৫ চার এবং ৪ ছক্কায় মুশফিকের ৩৯ বলে খেলা ৬৮ রানের হার না মানা ইনিংসে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান করে বরিশাল। ১৯ বলে সমান দুটি করে চার ছক্কায় ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রিয়াদ।
খুলনার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন ওশেন থমাস, নাসুম আহমেদ এবং মুকিদুল ইসলাম।