টুর্নামেন্টে চতুর্থ বাছাই হিসাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পা রাখেন ইতালিয়ান তরুণ ইয়ানিক সিনার। কখনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় তো দূরে থাক ফাইনালেও খেলা হয়নি ২২ বছর বয়সী এই তরুণের। সেই তিনিই এবার করলেন বাজিমাত। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ছেলেদের এককে জিতলেন জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম। নোভাক জোকোভিচের দুর্গে ফাইনালে দানিল মেদভেদেভকে হারিয়ে লিখলেন নতুন ইতিহাস। ঘোচালেন ছেলেদের গ্র্যান্ড স্ল্যামে ইতালিয়ানদের দীর্ঘ ৪৮ বছরের অপেক্ষার অবসান।
অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতে তাকেই গুনায় ধরেননি কেউ। ধরার কারণও ছিল না। ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে ১০টিই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জেতা জোকোভিচ যে আসরে স্পষ্ট ফেভারিট। সেই তাকেই হেসেখেলে সেমিফাইনালে বিদায় করে দিলেন সিনার। লিখলেন নতুন এক ইতিহাস। সেই ইতিহাসটাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ফাইনালে মেদভেদেভকে হারাতে হতো তাকে। এর আগেও যার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড আছে। সেই সঙ্গে দু’বার আছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার কীর্তি।
সেই মেদভেদেভকে ফাইনালে হারানোটা তার জন্য চ্যালেঞ্জই ছিল। তার ওপর দু’বছর আগে এই আসর থেকে ফাইনালে হারার শোধ এবার নিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলেন এই রুশ তারকা। প্রথম দুই সেটে ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের পথে। মনে হচ্ছিল কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়ায় সরাসরি সেটে ম্যাচটা জিতে নেবেন মেদভেদেভ।
তবে কে জানত, তখনও খেলা শুরুই করেননি ইয়ানিক সিনার। মেদভেদভেকে কেবল খেলিয়ে ক্লান্ত করেছেন তিনি। তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ালেন ৬-৪ গেমে। চতুর্থ সেটেও একই ফল। সেট জিতলেন ৬-৪ ব্যবধানে। পঞ্চম সেটটি যেই জিততে সেই উঁচিয়ে ধরবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এমন সমীকরণে কি করে ভুল করেন ঘুরে দাঁড়ানো সিনার। তারুণ্যের প্রাণ শক্তিও কাজে দিল বেশ। ৬-৩ ব্যবধানে সেট জিতে ৩-২ ব্যবধানে গেমটা নিজের করে নিলেন সিনার।
রড লেভার অ্যারেনায় ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের স্বাদ নিলেন। ইতালিয়ানদের ৪৮ বছরের শিরোপা খরা ঘোচিয়ে দিলেন। সিনারের এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ১০ বছর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল। শেষবার ২০১৪ সালে শিরোপা জিতেছিলেন সুইজারল্যান্ডের স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা। তার পর নতুন কোনও চ্যাম্পিয়ন পাওয়া যায়নি।