কাগজে-কলমের হিসেবেও শেষ চারে পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনাই নেই দুর্দান্ত ঢাকার। আসরের শুরুর ম্যাচটাই কেবল জিতেছিল রাজধানীর দলটি। এরপর থেকে টানা নয় হার। ১১তম ম্যাচেও এসে নিজেদের আর বদলাতে পারলো কই! সেই একই ব্যর্থতা, ব্যাটিং!
খুলনা টাইগার্সের দেশি-বিদেশি আর ডানহাতি-বাঁহাতি পেস মিশ্রণে মুকিদুল ইসলাম ও ওয়েন পার্নেলের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলেছে তাসকিন আহমেদের দল।
একদিকে ঢাকা সম্ভাবনা যখন এদিকে খুলনার শেষ চারে পৌঁছাতে এখান থেকে জিততে হবে প্রায় প্রতিটি ম্যাচ। আসরটা নামের সঙ্গে মিল রেখেই শুরু করে খুলনার টাইগাররা। শুরুর চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে তৎকালে ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। তবে টানা পাঁচ হারে পয়েন্ট তালিকাতেও পাঁচে নেমে যায় খুলনা।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতেই আরও একবার বিধ্বস্ত ঢাকা। সেই পুরনো সমস্যা। টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতা। ২৭ রানেই সাজঘরে পাড়ি জমিয়েছেন ৩ ব্যাটার। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে সেই চাপ সামলে এগোতে থাকেন আসরে দারুণ ফর্মে থাকা অ্যালেক্স রস। সাধারণত ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত এই ব্যাটার এদিন এগোতে থাকেন ধীরে। তবে ১২তম ওভারের ফের ধাক্কা। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুই ব্যাটারকে ফেরান মুকিদুল।
পরের জুটি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে এগোতে থাকলেও দলীয় ৯৫ রানের মাথায় আউট হন রস। শেষ দিকে এসে মোসাদ্দেকের ২৬ এবং চতুরঙ্গা ডি সিলভার ১৭ রানের ক্যামিও মান বাঁচানোর সংগ্রহে পৌঁছায় ঢাকা। মুকিদুল ও পার্নেল উভয়ই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।