দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ের ধারায় ছেদ টেনেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা পাঁচ ম্যাচ জেতা কুমিল্লাকে ১২ রানে হারিয়ে দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
সিলেটের দেয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। পাওয়ার প্লে’র মধ্যে ৩৯ রান তুলতেই দুই টপ অর্ডার ব্যাটার ইমরুল কায়েস (৩) এবং তাওহিদ হৃদয়ের (১৭) উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কুমিল্লার ব্যাটিংকে টেনে তোলার কাজটা করেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান এই ব্যাটার। এক প্রান্তে লিটন লড়াই চালিয়ে যান, অন্য প্রান্তে চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল।
তবে শেষদিকে লিটনের সঙ্গে যোগ দিয়ে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখে কুমিল্লা। যদিও শেষ ওভারের প্রথম বলে লিটন এবং শেষ বলে রাসেলের উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ৫৮ বলে ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি লিটন। বিফলে যায় রাসেলের ১৪ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসও।
সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার তানজিম সাকিব। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন স্পিনার সামিট প্যাটেল (৪-০-১৫-১) এবং পেসার শফিকুল ইসলাম (৪-০১৮-১)।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। সেখানে শুরু থেকেই রানের দেখা পেলেও সুনীল নারাইনের বলে আউট হন জাকির হাসান (১৮)। তবে শুরুর সেই চাপ সামলে এগোনোর বদলে ৭ রানের ব্যবধানে শান্ত (১২), লুইস (৩৩) ও রাব্বির (২) উইকেটও খুইয়ে বসে সিলেট।
সেখান থেকে বেনি হাওয়েলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। পঞ্চম উইকেটে মিঠুন-হাওয়েলের ৪২ বলে ৭৭ রানেই জুটিতেই মূলত বড় সংগ্রহর ভিত পায় তারা। হাওয়েল ৩১ বলে ৬ চার এবং ৪ ছক্কায় ৬২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার বিস্ফোরক ইনিংসে চড়ে ২০ ওভারে নিজেদের রানকে ১৭৭ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এই জয়ে অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে কোনো দলেরই অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। ১০ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট দুইয়েই রয়েছে কুমিল্লা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচের ৪টি জেতার সুবাদে পাওয়া ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে রয়েছে সিলেট।