ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলের পাশে বাফুফে সহ-সভাপতি
অবশেষে ৪র্থ ব্লাইন্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দল। আর্থিক সংকটে অনেকটাই অনিশ্চিত ছিল বিশ্বকাপের এ আসরে বাংলাদেশের অংশ নেওয়া। তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ালেন রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দল।
২৩ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের লাহোর ও মুলতানে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশসহ এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৭টি দল।
এর আগে দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত নানা বাধা-বিপত্তির মুখে ছিল দলটি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল স্পন্সর নিশ্চিত করতে না পারা। বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপ খেলতে খরচ করতে হবে অন্তত ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০ জনের এ প্রতিনিধি দলের সিংহভাগই (২২ লাখ) ছিল বিমান ভাড়া। তবে দেশসেরা রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস জাতীয় দলের ট্রাভেল স্পন্সর হিসেবে সহায়তায় করায় অবশেষে নিরাপদে দেশ ছাড়েন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশের লক্ষ্য এবার বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরা।
বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের (বিবিসিসি) পরিচালক (ইনফরমেশন ও কো-অর্ডিনেশন) ফজলে রাব্বি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আর্থিক। বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা করতে পারিনি। তবে সমস্যা এখন কেটে গেছে। জাতীয় দলের পাশে রেডিয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। যার ফলে ক্রিকেটাররা যে মানসিক চাপ ছিল তা আর নেই। এখন আমাদের টার্গেট বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিল (বিবিসিসি) ২০০০ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ব্লাইন্ড ক্রিকেট লিমিটেডের সঙ্গে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্টেও নিয়মিত অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে ১৯২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এই খেলার প্রবর্তন হয়। নিয়ম কানুন স্বাভাবিক ক্রিকেটের মতো হলেও বোলিংয়ে পার্থক্য রয়েছে। এই ক্রিকেটের একাদশে চারজন সম্পূর্ণ অথবা আংশিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খেলে থাকেন। ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে বিভিন্ন সিরিজসহ তিনটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের।