আবু হায়দার রনির বোলিং জাদুতে জয়রথ অব্যাহত রইল রংপুর রাইডার্সের। বিপিএলে টানা অষ্টম জয় তুলে নেয়ার পথে আজ ফরচুন বরিশালকে ১ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব-সোহানদের দল।
১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মুমিনুল হকের (০) উইকেট হারায় রংপুর। তবে ব্র্যান্ডন কিংয়ের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে তারা। ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি তোলা এই জুটিকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২২ বলে ৪৫ রান করে তার বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন কিং।
৭৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো রংপুরের স্কোর মুহূর্তেই পরিণত হয় ৫ উইকেটে ৮৭। ১৩ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে নিজেদের কাজটা কঠিন করে তোলেন নুরুল হাসান সোহানরা। ২৯ রানে আউট হন সাকিব।
তবে শেষদিকে জেমস নিশাম (২৮) এবং টম মুরসের (১৭) ছোট দুটি ইনিংসে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে দেন অধিনায়ক নিজেই। ২০ বল খেলেই পৌঁছে যান ৩৩ রান। তার ইনিংসে তিনটি চারের পাশপাশি ছিল দুটি ছক্কাও। তবে তামিম-ঝড় দীর্ঘ হয়নি। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই তামিমকে মুমিনুল হকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাকিব আল হাসান।
পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই তামিমের উইকেট হারালেও পথ হারায়নি বরিশাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার কাইল মায়ার্স এবং ইংল্যান্ডের টম ব্যান্টন মিলে সে ধাক্কা সামাল দেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৭২ রান। তবে ১২তম ওভারে ব্যান্টন (২৮) জিমি নিশামের বলে শেখ মেহেদীকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে সে জুটি।
বরিশাল তখনও আঁচ করতে পারেনি, পরের ওভারে কী ঝড়টাই না ধেয়ে আসছে তাদের দিকে! ১৩তম ওভারে এক বল পরপর উইকেট নিয়ে ওভার হ্যাটট্রিক করেন আবু হায়দার রনি। ওভারের প্রথম বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই পেসার। এক বল পরে নাড়িয়ে দেন সৌম্য সরকারের স্টাম্প। ওভারের শেষ বলে ৪৬ রানে ব্যাট করা মায়ার্সের ক্যাচ নিজেই তালুতে জমান।
নিজের পরের দুই ওভারে তুলে নেন আরও দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেটও। রনির ৪ ওভারের ১২ রানে নেয়া ৫ উইকেট চলতি মৌসুমের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান তো বটেই, এটি বিপিএল ইতিহাসেরই চতুর্থ সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।
রনির আগুনে বোলিং সামলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।