ফাইনালের টিকিট পেতে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি লিগ পর্বের দুই শীর্ষ দল রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাতে জিমি নিশামের একাকী লড়াইয়ে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে রংপুর। ২০ ওভারে ৬ উইকেট ১৮৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে তারা। ৩ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন জিমি নিশাম। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে ৯৭* রানের ক্যারিয়ারসেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলেছেন এই কিউই অলরাউন্ডার।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় রংপুরকে। লিগ পর্বে টেবিল টপারদের ইনিংসের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ২৭ রানের মধ্যেই দলটির প্রথম তিন ব্যাটারের ঠাঁই হয় সাজঘরে। দুই ওপেনার রনি তালুকদার (১৩) এবং শামিম হোসেন (০) ব্যাট খুব একটা হাসেনি। কথা বলেনি তিনে নামা সাকিব আল হাসানের ব্যাটও। আন্দ্রে রাসেলের খাটো লেংথের বল পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে রোহানাত দৌলাহ বর্ষণের হাতে ধরা পড়েছেন এই অলরাউন্ডার।
চতুর্থ উইকেটে শেখ মেহেদী ও জিমি নিশামের ৩৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রংপুর। তবে রাসেল-নারাইনের ক্যারিবিয়ান কম্বিনেশনে ২২ রানে থামতে হয় মেহেদীকে।
ছয়ে নেমে প্রথম কয়েক বল দেখেশুনে খেলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিক হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে খোলসমুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে পরের বলেই আবারও তুলে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা মঈন আলির তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ১৪ রানে।
অন্য প্রান্ত টপাটপ উইকেট পড়লেও বিচলিত হননি রংপুরের কিউই অলরাউন্ডার নিশাম। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে ছুটতে থাকেন সামনের দিকে। তাকে সঙ্গ দেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ৫৩ রানের ঝোড়ো জুটিতেই দেড়শ ছাড়ায় রংপুরের সংগ্রহ। ১৯তম ওভারের শেষ বলে রাসেলের বলে জনসন চার্লসের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার, ১ ছক্কায় ৩০ রান।
মুশফিক হাসানের করা শেষ ওভারে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালান নিশাম। ৭১ রান থেকে চোখের পলকে পৌঁছে যান ৯৭ রানে। দুই চারের সঙ্গে এই ওভারে তিনটি ছক্কাও হাঁকান। সেঞ্চুরির খুব কাছে পৌঁছেও অবশ্য শেষটায় কিছুটা আক্ষেপ থাকতেই পারে তার। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারলেও ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি যে অধরাই রইল তার।
নিশাম-ঝড়ে খাবি খেয়েছেন কুমিল্লার বোলাররা। ৪ ওভার বল করে ৭২ রান দিয়েছেন পেসার মুশফিক হাসান, বিপিএল ইতিহাসেই সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডে নাম উঠেছে তার।