রংপুর রাইডার্সের ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জ জয় করে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় থেকে এখন আর এক ধাপ দূরে লিটন দাসের কুমিল্লা। লিটন-হৃদয়ের অবিশ্বাস্য জুটিতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বিপিএল ইতিহাসের সফলতম দল কুমিল্লা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে রংপুর। তবে জিমি নিশামের ৮ চার এবং ৭ ছক্কায় খেলা ৯৭ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় তারা। ২০ ওভারে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৮৫।
জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই সুনীল নারাইনকে খুইয়ে বসে কুমিল্লা। ফজলহক ফারুকির খাটো লেংথের বল পুল করতে গিয়ে উল্টো উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন তিনি। তবে লিটন দাস এবং তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়ের দৃঢ়তায় নারাইনকে হারানোর ধাক্কা সামলে নেয় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাওয়ার প্লে’তে ৬১ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার।
লিটন-হৃদয়ের পাওয়ার হিটিংয়ে দারুণ দাপটে এগোতে থাকে কুমিল্লা। রংপুরের বোলারদের ছাতু বানিয়ে তারা দুজনই তুলে নেন ফিফটি। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-হৃদয়ের জুটি থেকে আসে ১৪৩ রান। বিপিএল এটাই এখন কুমিল্লার সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড। ১৫তম ওভারের শেষ বলে আবু হায়দার রনির বলে সাকিবের তালুবন্দি হয়ে হৃদয় আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৫ চারে এবং ৪ ছয়ে ৬৪ রান।
৮৩ রান করে শেখ মেহেদীর বলে লং অনে থাকা নিশামের হাতে ধরা পড়েন লিটন। ৯ চার এবং চারটি বিশাল ছক্কায় ইনিংস সাজিয়েছিলেন কুমিল্লা অধিনায়ক।
হৃদয়-লিটন ফেরার আগেই অবশ্য কুমিল্লাকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ৫ বলে ১২* রানের ক্যামিও খেলা মঈন আলি।