নাজমুল হোসেন শান্ত আউটের পর ইনিংসের ১৩তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন তাওহীদ হৃদয়। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলিয়ে আগের চার ম্যাচে সেভাবে রান না পাওয়ায় শুরুতে কিছুটা সময়ে নিচ্ছিলেন। এদিকে সৌম্য আউটের পর একে একে সাজঘরে ফিরতে থাকেন মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা। সেখানে দায়িত্ব যেন আরও কিছুটা বেড়ে গেল হৃদয়ের। এগোলেন উইকেট বাঁচিয়েই।
১৩তম ওভারে নামলেন নিজের ফিফটি তুললেন ৪১তম ওভারে যেয়ে। ততক্ষণে ৭৪ বল খেলে স্রেফ ২টি চার মারেন হৃদয়। যেন নিজের সহজাত ফর্ম ছাপিয়ে উইকেটকেই আঁকড়ে ছিলেন ধরে। তবে পিচ ব্যাটিং সহায়ক সেখানে লক্ষ্যটা বড় রাখাটা জরুরি। এতে শেষ নয় ওভারে হাত খোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বাকি ৪৬ রান স্রেফ ২৮ বলে করেছেন হৃদয়, সেখানে ছক্কায় মেরেছেন পাঁচটি, দুটি ছক্কা ছিল শেষ দুই বলে। তবে আক্ষেপ যেন রয়ে গেল ওই ৪ রানের, সেঞ্চুরি পূরণের। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হতে পারতো এটি। ইনিংস শেষে মাঠ ছাড়ার সময় হৃদয়ের চোখে মুখে ছিল হতশার ছাপ।
বাইরে থেকে সবাই আক্ষেপের সমীকরণ মেলালেও হৃদ্যয়ের ভাষ্যে ভিন্ন কথা। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন সেঞ্চুরি করতে না পারার কোনো আক্ষেপ নেই তার। ‘কোনো আক্ষেপ নেই (সেঞ্চুরির), যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়েছি। সব সময় পরিকল্পনা এমনই থাকে, একটা শুরু যখন পেয়েছি যতটুকু সম্ভব সেদিন যেন ক্যারি করতে পারি।
বলছিলাম ব্যাটিং পিচের কথা। যেখানে লক্ষ্যটা বড় রাখা জরুরি। এই ক্ষেত্রে হৃদয়ের সুরও সেদিকেই। ২৮৬ রানে থেমেও সেটিকে যথেষ্ট বললেন না হৃদয়। ‘উইকেট ছিল ৩২০ থেকে ৩৩০ রানের। আমরা থিতু হয়ে যদি ইনিংসটা ক্যারি করতাম, তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতো।’