তিনদিনে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
ইনিংস হার পরিষ্কার হয়ে গেছে চা বিরতির আগেই। তবে যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল, তা হলো, খেলাটা চতুর্থ দিনে যাবে কি না। বাংলাদেশ সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প লিখল স্বাগতিকরা। এবার আরও কম রানে অলআউট হলো দল। ৪৩.২ ওভারে ১৪৩ রান তুলতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। আর তাতেই এক ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল হার দিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলতে পেরেছিল মোটে ১৫৯ রান। সফরকারীরা ফলো অন করা নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৪৩ রান তুলতেই খুইয়ে বসে ৪টি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে মোটে ৪৬ ওভার ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। তাই ফলো অন করানো হবে কি না, সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবতে হয়নি সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
সে সিদ্ধান্ত যে ভুল কিছু ছিল না, বোলাররা তা প্রমাণ করলেন। শুরুতে ‘জীবন’ পেলেও সাদমান ইসলাম তা কাজে লাগাতে পারেননি। প্যাটারসনের শিকার হয়ে আবারও ফিরেছেন এক অঙ্কেই।
এখন পর্যন্ত দুই অঙ্কে যাওয়া একমাত্র ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন এরপর। সেনুরান মুথুসামির শিকার বনেন তিনি। আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা মুমিনুল হক কেশভ মহারাজকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বাউন্ডারি লাইনে, এরপর ফেরেন ০ রানে।
১৫তম ওভারের শেষ বলে মুথুসামিকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন জাকির হাসান। সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষণা আসে, দ্বিতীয় সেশনটা শেষ এখানেই।
পরের সেশনেও বাংলাদেশ রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে ৩৬ রানের ইনিংসে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুমিনুল হকরা কিছুই করতে পারেননি।
শেষ দিকে অভিষিক্ত মাহিদুল অঙ্কন ২৯ আর হাসান মাহমুদ করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান। তাতে অবশ্য ব্যবধানটাই একটু কমেছে, আর তেমন কোনো লাভ হয়নি।
শেষ বিকেলে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৪৩ রানে। তাতে ইনিংস ও ২৭৩ রানের হারে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় শান্তর দল।