এতদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর শিরোপা লিখে সার্চ দিলে আসতো ‘ফোর ও ফোর, নট ফাউন্ড’। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএলের পেরিয়েছে ১৬ আসর। তবে সেখানে এতদিনেও শিরোপা শূন্য ছিল ফ্রাঞ্চাইজিটি। তবে কোহলি, ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা যা পারেননি তা এবার করে দেখালেন স্মৃতি মান্ধানা-এলিস পেরিরা। নারীদের হার ধরেই এলো বেঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল শিরোপা।
দিল্লীতে গত রাতে নারীদের আইপিএলের দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে বেঙ্গালুরু।
অজিদের নারী ক্রিকেট ইতিহাসে সফলতম অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ফাইনালে টসে জিতে সিদ্ধান্ত নেয় আগে ব্যাটিংয়ের। যেখানে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল রাজধানীর দলটি। ৭ ওভারেই বিনা উইকেটে আসে ৬৪ রান। তবে এরপরই শুরু হয় ব্যাটিং ধস। মেগ ল্যানিংয়ের ২৩ এবং আরেক ওপেনার সেফালি ভার্মার ৪৪ রান বাদে আর কোনো ব্যাটারই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি।
শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও সোফি মলিনিউয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে পাড়ি জমান দিল্লির ব্যাটাররা। এতে ১৮ ওভার ৩ বলেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানেই থামে দলটি। শ্রেয়াঙ্কা নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট এবং সোফি নেন ৩টি।
১১৪ রানের মামুলি সেই লক্ষ্য অনেকটা ধীরগতিতে হলেও অনায়সায়েই তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। ১৯ ওভার ৩ বলেই ৮ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে যায় শিরোপা জয়ের বন্দরে। সেখানে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে অজি তারকা অলরাউন্ডার পেরির ব্যাট থেকে।
৩ উইকেট শিকারি সোফির হাতে শেষ পর্যন্ত থামে ম্যাচসেরার খেতাব। এদিকে দল ফাইনালে না উঠলেও ইউপি ওয়ারিয়র্সের দিপ্তি শর্মা আসরজুড়ে ২৯৫ রান ও ১০ উইকেট শিকারে জেতেণ টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব।