৪৭-৫, লঙ্কানদের বিপক্ষে রেকর্ড রানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-03-24 17:52:01

এই লঙ্কানদের বিপক্ষেই ২০১০ সালে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ব্যবধানটা ৪৬৫ রানের। আর এদিন যখন লঙ্কানদের ৫১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তখন সেই রেকর্ডটিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তো উঁকি দেয়ই। এদিন আরেকটি লজ্জার রেকর্ডের সামনে থেকে ৫ উইকেট খরচ করে ৪৭ রানে, দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্টে ৬২ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা এখন দূর করা গেলেই হয়।

ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরে বসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দুর মেন্ডিসের দ্বিতীয় ইনিংসে করা ১৭৩ রানের জুটির পরপরই। এরপর সেটা যখন ৫১১-তে গিয়ে ঠেকে। তখন জয়ের স্বপ্নটা দিবাস্বপ্নে পরিণত হয় বাংলাদেশের জন্য। কেননা, এত রান টপকে জয়ের রেকর্ড যে নেই কোনো দলের। তাই সেই দিক থেকে চিন্তা করলে সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের হার এক রকম নিশ্চিতই ছিল।

নিশ্চিত হারের ম্যাচে বাংলাদেশের থেকে কাম্য ছিল একটা ভালো লড়াই। সেই আশা সমর্থকরা করেছিল সম্প্রতি এই দুই দলের মধ্যে চলমান দ্বৈরথের কারণেই। তবে এদিন তার উত্তাপ টের পাওয়া গেল না। লঙ্কান বোলারদের সামনে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল টাইগার ব্যাটাররা। লঙ্কান পেসারদের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই পারল না কোনো ব্যাটার। শূন্য রানে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু।

এমন একটা শুরুর পর বাংলাদেশের ইনিংস কতদূর যাবে তা অনুমেয়ই ছিল। সেই অনুমান আরও স্পষ্ট হতে থাকে দলীয় ৩৭ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটার ফিরলে। বিশ্ব ফার্নান্দোর বল যেন না খেলতে পারলে বেঁচে যায় বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তবে টেস্ট ক্রিকেটে ওভারের লিমিটেশন না থাকায় তাকে খুব বেশি ওভার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই উইকেট বিলি করে আসাকেই শ্রেয় মনে করেছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। লিটন দাস আরও একবার ফিরেছেন শূন্য রানে। ফার্নান্দোর ইনসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে উইকেট দিয়ে এসেছে তিন ব্যাটার।

পরে শেষ বিকেলে উইকেটে এসে দিনটা কোনো রকমে পার করে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। মুমিনুল হককে নিয়ে শেষ বিকেলে উইকেটে আরও কোনো আঘাত আসতে দেননি তিনি। বাংলাদেশ দিনের খেলা শেষ করেছে ৫ উইকেট খরচ করে স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান করে। চতুর্থ দিনে ৭ রানে মুমিনুল ও ৬ রানে তাইজুল ব্যাট করতে নামবেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ২৮০ ও ৪১৮, ১১০.৪ ওভার (ধনঞ্জয়া ১০৮, করুনারত্নে ৫২, কামিন্দু ১৬৪; নাহিদ ২/১২৮, মিরাজ ৪/৭৪)।
বাংলাদেশ ১৮৮ ও ৪৭/৫; (জাকির ১৯, মুমিনুল ৭*; ফার্নান্দো ৩/১৩, লাহিরু ১/৬)

এ সম্পর্কিত আরও খবর