চলতি আসরে একমাত্র জয়হীন দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই তথ্যটা জেনেই মাঠে নেমেছিলেন দলটির খেলোয়াড়রা। ঘরের মাঠে প্রথম জয় তুলে নেয়ার জন্য একটা বাড়তি তাড়না থাকার কথা ছিল তাদের। কিন্তু কীসের কী! উল্টো সে চাপেই কীনা কে জানে, ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ল আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল এই দল। তাতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রানে থামতে হয়েছে তাদের।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ট্রেন্ট বোল্টের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের টপ অর্ডার। ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন রোহিত শর্মা, নামান ধীর এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। রোহিত তো ডাকের রেকর্ডই গড়ে ফেলেছেন, আইপিএল ইতিহাসে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে এখন যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি (১৭) ডাকের মালিক এখন ভারতীয় অধিনায়ক।
বোল্টের হাত থেকে বাঁচলেও নান্দ্রে বার্গারকে এড়াতে পারেননি ঈশান কিষাণ। ১৬ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হতে হয় তাকে। ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসা দলটি ভরসা পায় পঞ্চম উইকেটে তিলক বর্মা এবং আলোচিত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার জুটিতে হালে পানি পায় তারা।
দশম ওভারে তাদের ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তার বল তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ঠিক সামনে বদলি ফিল্ডার রভম্যান পাওয়েলের তালুবন্দি হন হার্দিক। ফেরার আগে ৬ চারে ২১ বলে ৩৪ রান আসে তার ব্যাটে। ৩২ রান করা তিলককেও নিজের ঘূর্ণিতে থামিয়েছেন চাহাল। নিজের শেষ ওভারে জেরাল্ড কোয়েটজির উইকেটটিও ঝুলিতে পোরেন এই ঘূর্ণিবাজ। বোলিং শেষ করেন ঈর্ষণীয় পরিসংখ্যান সঙ্গী করে, ৪-০-১১-৩! তার সমান ৩ উইকেট পেয়েছেন বোল্টও।
চাহাল-বোল্টের বোলিং নৈপুণ্যে গড়পড়তা রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে।