গতির সঙ্গে উইকেট তোলাতেও মনোযোগী মায়াঙ্ক

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-04-04 10:41:08

মায়াঙ্ক যাদব আইপিএলে এবার খেলছেন প্রথমবার। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে এই আসরে মাঠে নামার আগে তিনি প্রথম শ্রেণি ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৩০ ম্যাচও খেলেননি। অথচ মাত্র ২১ বছরে পা দেওয়া এই তরুণ ক্রিকেটারই এখন আলোচনার তুঙ্গে।

আলোচনার কারণ তার গতি। আইপিএলে সবশেষ দুই ম্যাচেই গতিময় বোলিংয়ে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের। দুই ম্যাচেই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। প্রতি ম্যাচেই নিয়মিত বল করছেন ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগের আশেপাশে। যা দেখে বিশ্বের কিংবদন্তি সব পেসারদেররাও মেতেছেন তার প্রশংসায়।

সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার ব্রেট লি তো প্রথম দিনেই বলে বসেছেন, ভারত তাদের সবচেয়ে গতির বোলার পেয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইন তো অবাক বিস্ময়ে বলেছেন- 'এতদিন কোথায় ছিলেন মায়াঙ্ক?' নিজ দেশের পেসারদের দিচ্ছেন গতি বাড়ানোর নানা পরামর্শ।

তরুণ এই পেসার যে আছেন আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার হওয়ার পথেও। এখন পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম বলটি ছিল ২০১১ আইপিএলে করা শন টেইটের ১৫৭.৭১ কিলোমিটার ঘণ্টা বেগের। পরের বলটি জেরাল্ড কুটর্জের করা ১৫৭.৪। এরপর অবস্থান লকি ফার্গুসনের ১৫৭.৩।

তালিকার চতুর্থ স্থানে অবস্থান ভারতীয় পেসার উমরান মালিকের। তার বলের গতি ছিল ১৫৭। আর সবশেষ ম্যাচে মায়াঙ্ক গতি তুলেছেন ১৫৬.৭। আগের ম্যাচে তুলেছিলেন ১৫৫.৮। অর্থাৎ প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে গতি বেড়েছে তার। যা আশাবাদী করছে সবাইকে। আর এভাবে চলতে আইপিএলের দ্রুততম বলের রেকর্ডটিও যেকোনো দিন মায়াঙ্ক নিজের করে নিতে পারেন।

বোলিংয়ের এই গতি ধরে রাখার জন্য মায়াঙ্ক পরামর্শও পাচ্ছেন সবার। তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, বিশেষ করে ইশান্ত শার্মা ও নবদ্বীপ সাইনি ভাই আমাকে বলেছেন, যেন নতুন কিছু চেষ্টা করলেও আমি বলে গতি না কমাই। যেন কখনোই গতির সাথে আপস না করি এবং এমন কোনো ভ্যারিয়েশন যোগ না করি যা গতি কমায়।’

তবে কেবল গতি নয় উইকেট তোলাতেও মনোযোগ আছে মায়াঙ্কের। সবশেষ দুই ম্যাচেই তুলেছেন ৬ উইকেট। হাঁটছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলাদের পথেও। যা নিয়ে মায়াঙ্ক বলেন, ‘কেবল গতির দিকে মনোযোগী নই আমি। আমার মনোযোগ উইকেট নেওয়া এবং দলে অবদান রাখা। তবে, আমি যখন বল ডেলিভারি করি, তখন আমার অবশ্যই গতি রাখতে হবে। ম্যাচের পরে, আমি জিজ্ঞাসা করি সর্বোচ্চ গতি কী ছিল? তবে ম্যাচ চলাকালীন, আমি কেবল আমার বোলিংয়েই মনোনিবেশ করি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর