ম্যাচ শেষ হয়ে গেল পাওয়ারপ্লেতেই! শক্তি, সামর্থ্য, পরিসংখ্যান সবেই অস্ট্রেলিয়ার থেকে ঢের পিছিয়ে নামিবিয়া, যা বোঝা গেল মাঠের খেলাতেও। অ্যাডাম জ্যাম্পা স্পিন ও দলীয় পেস নৈপুণ্যে আফ্রিকার দলটিকে ৭২ রানেই অলআউট করে দেয় অজিরা। পরে সেই রান স্রেফ ৫ ওভার ৪ বলেই তুলে নেয় ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ৯ উইকেটের বড় এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে প্রথম এবং আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটের জায়গা নিশ্চিত করে মিচেল মার্শের দল।
ওমানের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে হয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনটা বেশ ভালোভাবেই শুরু করে অজিরা। এবার নামিবিয়াকেও ব্যাটে-বলে কোনো পাত্তাই দিল না হেড-হ্যাজলউডরা। নেপাল-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় আসরের প্রথম দল হিসেবে সুপার এইটের টিকিট কাটে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার ঘণ্টাখানেক পরেই পরের রাউন্ডে টিকিট কাটে অজিরাও।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। সেখানে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৭২ রান তুলে সক্ষম হয় নামিবিয়া।
মামুলি সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ইনফর্ম ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ২১ রানে মাথায় ফেরেন ওয়ার্নার, যার মধ্যে ২০ রান তারই। অধিনায়ক মার্শকে নিয়ে বাকি ৫২ রান চার ওভারেই তুলে নেন হেড। দলীয় সর্বোচ্চ ১৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এদিকে মার্শও সমান ২০০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১৮ রান। নামিবিয়ার হয়ে সেই একটি উইকেট নেন ডেভিড ভিসা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে অজি পেসারদের তোপে ১৮ রানেই শুরু চার উইকেত হারায় নামিবিয়া। এরপরই শুরু হয় জ্যাম্পার স্পিন ঘূর্ণি। আগের ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটারদের ভোগানোর পর এবার ভিসা-গ্রিনদের চোখেও সর্ষে ফুল দেখালেন এই লেগ স্পিনার। এতে ৪৩ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে নামিবিয়া। শেষ পর্যন্ত তাদের অধিনায়ক ইরাসমাসের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানে চড়ে শেষ পর্যন্ত ৭২ রানে থামে তাদের ইনিংস।
অজিদের হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জ্যাম্পা। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও।