বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে অঘটন ঘটিয়ে আসর শুরু করেছিল পাকিস্তান। এরপর ভারতের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যের ম্যাচেও ৬ রানে হেরে যায় তারা। এতে আসরের শুরুর দুই ম্যাচে হেরে তাই সুপার এইটে পৌঁছানোর রাস্তা অনেকটাই কঠিন বানিয়ে ফেলেছে বাবর আজমের দল। পরের রাউন্ডে পৌঁছাতে বাকি দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় ছাড়াও গ্রুপের অন্য দলগুলোর সমীকরণের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে পাকিস্তানকে। সেই ধারায় গতকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাবর-রিজওয়ানরা।
এই ম্যাচে হোঁচট খেলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত পাকিস্তানের। এতে জয়টা কার্যত দরকারই ছিল তাদের। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বাবর আজমও সুর মেলালেন সেদিকেই। ‘জয়টা আমাদের দরকার ছিল।’
আগে ব্যাট করতে নামা কানাডাকে পেস তোপে ভোগান হারিস-আমিররা। এতেই নাসাউ কাউন্টিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৬ রানের মামুলি সংগ্রহ দাঁড় করায় কানাডা। তবে আসরে সবচেয়ে আলোচিত পিচেও এই সংগ্রহে ছোট করে দেখার যেন অবকাশ ছিল না পাকিস্তানের। এই মাঠেই ভারতের দেওয়া স্বল্প লক্ষ্যে ম্যাচ হেরেছিল তারা, আবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এতেই ব্যাট হাতে বেশ দেখেশুনেই এগোয় বাবর-রিজওয়ানরা। এতে ১৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন রিজওয়ান। এছাড়া বাবর করেন ৩৩ রান।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর জানান এই ম্যাচে জয়টা তার দলের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ‘এই জয়টা আমাদের দরকার ছিল। বোলিংয়ে আমরা ভালো শুরু পেয়েছিলাম। এছাড়া ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারে আমাদের এগিয়ে থাকতে হতো (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রান রেট মেলাতে)।
তবে ম্যাচটা আরও আগে জিততে চেয়েছিল পাকিস্তান। সেই প্রসঙ্গে বাবর বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১৪ ওভারের আগে ম্যাচ জেতার। তবেপিচ বিষয়টিকে কঠিন করে তুলেছিল।’
ভারতের বিপক্ষের পর এই ম্যাচেও একইভাবে আউট হয়েছেন বাবর, কাট করতে দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ডেতেই। এতেই আউটের পর তাকে বেশ ক্ষুব্ধ দেখা যায়। ছুঁড়ে মেরেছিলেন ব্যাটটিও। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বাবর উত্তর দেন, ‘আমি একই শটে দুবার আউট হয়েছি! এটা আমার শট কিন্তু কখনো কখনো আপনার সাফল্য প্রয়োজন। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’