দ্বিতীয় ইনিংসের ১২তম ওভারে নামে তৃতীয় দফার বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত এবার বৃষ্টি জোরালোভাবে এলে আর খেলা মাঠে গড়াল না। বৃষ্টি নামার আগে ডিএলএস আইনে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধানেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা জিতল মিচেল মার্শের দল।
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এটি ছিল তৃতীয় দফার বৃষ্টি। প্রথম দফায় টসের আগে বৃষ্টি নামলে ১৫ মিনিট দেরীতে হয় টস। পরে অজিদের ইনিংসের পাওয়ারপ্লে শেষের পরপরই ফের নামে বৃষ্টি। সেবার ম্যাচ বন্ধ ছিল ২০ মিনিট। এরপর খেলা শুরু হয়ে চলে আরও ৫ ওভার। সেখানে ১১ ওভার ২ বলে অজিদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০০ রান এবং বৃষ্টি আইনে তারা এগিয়ে ছিল ২৮ রানে। পরে তৃতীয় দফার বৃষ্টি না থামলে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও সুপার এইটে যাত্রা শান্ত-সাকিবদের হলো হার দিয়েই। ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। সেখানে ব্যাত করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশের।
জবাবে সেই লক্ষ্য তাড়ায় বৃষ্টি বাঁধা আসার আগে ৬ ওভার ২ বলেই ৬৪ রান তুলে ফেলে অজিরা। পরে বৃষ্টি থামার পর সেই ওভারেই ট্রাভিস হেডকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। ২১ বলে ৩১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে মার্শকেও একই রাস্তা মাপান রিশাদ। তবে পিচে থিতু হয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিতেই এগোতে থাকেন ওয়ার্নার। ৩৪ বলে তুলে ফেলেন ফিফটি এবং বৃষ্টি নামার আগে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে লিটন-শান্তর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ সামলে নিয়েছিল অনেকখানি। সেখানে ২৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন লিটন। এদিকে রান রেট বাড়াতে ব্যাটিং অর্ডার বদলে ফ্লোটারের ভূমিকায় নামেন রিশাদ। তবে তা কাজে দিল না খুব একটা। কেবল ২ রান করে পরের ওভারেই আরেক স্পিনার ম্যাক্সওয়েলের বলে ফিরলেন তিনি। বিশ্বকাপে আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ থেকেই রান খরা কাটছিল না শান্তর। তবে অজিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকেই। তবে সেটি হলো না অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন শান্ত। এর আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ বলে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস।
ডাচদের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। তবে অজিদের বিপক্ষে কেবল ৮ রান করেই ফিরতে হলো তাকে। পরে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ (২) ও মেহেদি (০)। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ এবং ৭ বলে তাসকিনের ১৩ রানের ক্যামিওতে ১৪০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কামিন্স এবং দুটি উইকেট নেন জ্যাম্পা।
সুপার এইটে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামীকাল (শনিবার)। একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।