সুপার এইটের ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের কোচ হাথুরুসিংহে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের লক্ষ্যটা অর্জিত হয়ে গেছে। এখন যা আসবে সবই বোনাস। অর্থাৎ তার বার্তাটা পরিষ্কার। হার জিত নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। স্বাধীনতা নিয়ে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে চায় দল। তবে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেখা গেল সেই পুরনো চিত্রটাই। ব্যাটাররা রান খরা কাটাতে পারেননি স্বাধীনতা পেয়েও।
১৪০ রানের পুঁজি নিয়ে অজিদের বিপক্ষে যা প্রত্যাশা করা যায়; তাই হয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানের ব্যবধানে। যদিও বৃষ্টি আইনে, তবে খেলা হলেও হারই ছিল বাংলাদেশের ভাগ্যে। ক্রিকেটারদের এমন ব্যাটিং নিয়ে তাই হতাশায় ঝড়ে পড়েছে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে। স্বাধীনতা দেওয়ার পরও কেন এমন ব্যাটিং উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি নিজেও।
ব্যাটারদের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কারণ জানাতে গিয়ে শান্ত বলেন, ‘কেন পারছি না, সেটা বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয়, দলের সবার সেই (বড় ইনিংস খেলার) সামর্থ্য আছে। অতীতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় করেও দেখিয়েছে। কিন্তু (বিশ্বকাপে) কেন হচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই হচ্ছে না।’
সুপার এইটে বাংলাদেশের বাকি আর দুই ম্যাচ। অজিদের বিপক্ষে হারলেও সেখানে জয়ের স্বপ্নই দেখছেন শান্ত। বলেন, ‘দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। দুটি ম্যাচই জিতলে পারলে আমরা আরও ভালো অবস্থানে যাব। অবশ্যই প্রত্যেক ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলব। দলের কাছে আমার চাওয়া, সবাই যেন স্বাধীনভাবে খেলে। কিন্তু এখন যেভাবে ব্যাট করছি, তা আবার করলে জয় পাওয়া খুব কঠিন।’