আগেরবার খুব কাছে গিয়েও হয়নি। তিনশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ৯১ রানে ৭ উইকেট তুলে ফেলার পর পরিস্থিতিটাকে তো আপনি খুব কাছাকাছি বলেই মানবেন, না? ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের সেই জয়ের মাঝে দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে আজ আর কেউই পারলেন না সেটা করতে। আফগানিস্তান অজিদের বিপক্ষে অধরা সে জয়টা তুলেই নিল। ২১ রানের এই জয়ে তারা নিজেদের তো বটেই, বাংলাদেশেরও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশাটা জিইয়ে রেখেছে।
পরিস্থিতিটা মিলে মিলে যাচ্ছিল। ওপেনারদের ব্যাটে চড়ে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, এরপর শুরুতে অজিদের ধাক্কা দেওয়া, এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওভাবে দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে যাওয়া। ওয়াংখেড়ের সঙ্গে আর্নস ভেলের এই ম্যাচ মিলে যাচ্ছিল অনেকটাই। তবে পুরোটা মিলে যেতে দিলেন না গুলবাদিন নাইব। ৪১ বলে ৫৯ রান করে অস্ট্রেলিয়ার আশা হয়ে থাকা ম্যাক্সওয়েলকে বিদায় করেন তিনি।
এরপরও আর কাউকে ম্যাক্সওয়েল বনে যেতে দেননি। তা হওয়া তো দূরের কথা, স্টয়নিসের পর থেকে শেষ পর্যন্ত আর কাউকে দুই অঙ্কেই যেতে দেয়নি আফগানরা। এমন ম্যাচ আফগানরা শেষ করেছে ২১ রানে জয়ের তৃপ্তি নিয়ে।
অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধটা মনে করাচ্ছিল, ম্যাচটা বুঝি অস্ট্রেলিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছে। আফগান দুই ওপেনার সেঞ্চুরি জুটি উপহার দিয়েছেন বটে। কিন্তু দুজনের জুটিটা যখন ১১৮ রানে ভাঙল, তখন ইনিংসের ১৬তম ওভার প্রায় শেষ! পরের চার ওভারে দলটা রান তুলেছে বটে। কিন্তু তাদের রানের গতিটাও আটকে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ আর ২০তম ওভারের শুরুর দুই বলে তুলে নিলেন তিন উইকেট, ফেরালেন রশিদ খান, করিম জানাত আর গুলবাদিন নাইবকে। তাতে লক্ষ্যটা আরও বড় হয়ে যাওয়া থেকে আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া।
তবে তখন যা হওয়ার, তা তো হয়েই গেছে! আর্নস ভেলের উইকেটে ১৫০ ছুঁইছুঁই রান যে মোটেও কম কিছু নয়, তার প্রমাণ তো আগের ম্যাচগুলোই দিয়েছে! আফগানরা দিল আজ আরও একবার। তাতে ২০২৩ বিশ্বকাপের শোধ নিয়ে নিজেদের সেমিফাইনালের আশাটাও বাঁচিয়ে রাখল দলটা।