ফিরে এলেন টাইগারদের বিশ্বকাপ জেতানো কোচ

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-07-01 20:00:18

ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্যটা এসেছিল ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। সেবার আকবর আলীর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশের যুবারা। সেই দলের অনেকেই এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত একাদশেও খেলছে। যার হাত ধরে ক্রিকেটে এতবড় সাফল্যটা পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেই নাভিদ নেওয়াজকে আবারও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই লঙ্কান কোচ ঢাকায় পা রেখেছেন আজ। বিসিবির কাছ থেকে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের যুবাদের দায়িত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত নাভিদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও।

তিনি বলেছেন, ‘ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। বাংলাদেশে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মধ্যে যথেষ্ট গভীরতা আছে। আমি বাংলাদেশের সব জায়গায় যেতে চাই, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে চাই। দু-তিন বছর পর আবার বাংলাদেশে কাজ করতে পারছি, ভালো লাগছে।’

নাভিদের হাত ধরেই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে সেরা সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য আর তেমন কোনো সাফল্য নেই। তাই নাভিদকে নতুন করে ফেরানোর মানে ফের বিশ্বমঞ্চে সাফল্য চায় বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই তাই এবার বাড়তি চাপ থাকবে নাভিদের ওপর। তিনি অবশ্য বিষয়টাকে চাপ হিসেবে না নিয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন।

যা নিয়ে এই লঙ্কান কোচ বলেন, ‘আমি বর্তমানে মনোযোগ দিতে চাইব, চার বছর আগে যা হয়েছে, তা অতীত। অতীতে ভালো করেছি, তাই সামনেও ভালো করব, বিষয়টা তেমন নয়। বরাবরের মতো বিসিবি এবারও দারুণ কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছে, যা অতীতে সাফল্য এনে দিয়েছে। আশা করছি, এবারও তা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দারুণ ক্রিকেট খেলে নজরে আসলেও পরে জাতীয় দলে গিয়ে সেই অর্থে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপে ভেঙে পড়ে। একটা সময় হারিয়েও যায়।

যা নিয়ে নাভিদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা অন্য রকম। আপনি ১৮-১৯ বছর বয়সে ভালো ক্রিকেটার হলেও ২৫-২৬–এ গিয়ে যে তারকা বনে যাবেন, বিষয়টি তেমন নয়। কতটা পরিশ্রম করছেন, তার ওপর সব নির্ভর করে। ক্রিকেট খেলাটা এখন অনেকটাই বিশ্লেষণনির্ভর। খেলোয়াড়দের নিজের ভুল ধরতে হয়, শোধরাতে হয়। সে জন্য বয়সভিত্তিকের পর বিসিবির এইচপি ও অন্য বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কার্যক্রম আছে। যেন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো জায়গায় ছেলেরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারে, নিজেদের ঘাটতি মেটাতে পারে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর