হাসির খোরাক হয়েছে রোনালদোর কান্না

ফুটবল, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-07-02 16:06:59

দলগত শক্তিমত্তা কিংবা তারকা খেলোয়াড়দের সংখ্যা, সবদিকেই স্লোভেনিয়ার চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো শেষ ষোলোর এই ম্যাচে পুরো ম্যাচ জুড়েই সেরকম প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি যেমনটা তার থেকে ভক্ত ও দর্শকরা আশা করেছিল। এমনকি অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও দলকে জেতাতে পারেননি।

মূল ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলেও পরে যদিও টাইব্রেকারে গোল করেছেন পর্তুগিজ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত জয়ও তুলে নিয়েছে পর্তুগাল। তবে অতিরিক্ত সময়ে রোনালদোর সেই কান্না হৃদয় ছুঁয়েছে বেশিরভাগ ফুটবল সমর্থকেরই। তার এই কান্না দ্বারাই বোজাহ যায় ফুটবলের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা এবং দলকে এগিয়ে না নিতে পারার তীব্র যন্ত্রণা।

তবে ইন্টারনেট জগতে আরেক পক্ষ রোনালদোর এই কান্না নিয়েই করছে মশকরা, রোনালদোর চোখের জল নিয়ে তারা করছে হাসি-তামাশা। মাঠের মধ্যে এরকম অভিজ্ঞ একজন তারকা ফুটবলার, যিনি কিনা আবার দলের অধিনায়ক, তার এরকম পরিস্থিতিতে কান্না করা নিয়ে উঠছে নানা সমালোচনা, অনেকে বলছেন অনেক কথা। যেগুলোর বেশিরভাগই রোনালদোকে হেয় করে বলা হচ্ছে।

একজন ফুটবল দর্শক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ম্যাচ চলাকালে এভাবে কান্না করতে পারেন না আপনি।’।

আরেকজন লিখেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঝমাঠে বসে বাচ্চা একটি মেয়ের মতো কাঁদছেন।’

একজন তার এক্স অ্যাকাউন্টে রোনালদোর কান্না নিয়ে লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এই কান্নার চেয়ে মজার আর কিছু হতে পারে না।’

আরেক ফুটবলপ্রেমী রোনালদোর কাঁদার ছবি পোস্ট দিয়েছে তাতে লিখেছেন, ‘রোনালদো কাঁদছেন। কারণ, রোনালদো বুঝে ফেলেছেন যে তিনি শেষ হয়ে গেছেন।’

মূল ম্যাচে রোনালদোর পেনাল্টি মিস করা এবং ফ্রিকিক মিস করা নিয়েও আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘রোনালদো পেনাল্টি মিস করেছেন। তার বিদায়ের সময় এসে গেছে!’

মাঠে খেলার প্রতি রোনালদোর আবেগ দেখিয়ে কাঁদার জন্য এরকম হাসির পাত্র এর আগেও তাকে হতে হয়েছিল। ২০১৬ ইউরো ফাইনালে ম্যাচের শুরুর দিকেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার সময় এভাবেই কষ্টে কেঁদেছিলেন তিনি। এছাড়াও একই বছর টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার ফাইনাল হেরে মাঠেই কাঁদছিলেন লিওনেল মেসি, তার সেই কান্নার ছবি নিয়েও কম ট্রল হয়নি। একজন ফুটবল সমর্থক হিসেবে খেলোয়াড়দের আবেগ নিয়ে এই ধরণের ঠাট্টাগুলো একদমই কাম্য নয় বলেই মনে করেন বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর