তুমুল নাটকীয়তার পর প্যারিস অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকসের টিম অল-রাউন্ড ফাইনালে ঘুরে দাঁড়িয়ে চীনকে পেছনে ফেলে স্বর্ণপদক জিতল জাপান। চূড়ান্ত স্কোর পর্দায় ভেসে উঠতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ৫ জাপানিজ অ্যাথলেট সহ পুরো গ্যালারী। দলের নেতা দাইকি হাশিমোতো এর ভুলেই হারতে বসে ছিল জাপান, তবে শেষ লড়াকু মনোভাবের ফলেই সোনা জিতলো তারা।
টোকিও অলিম্পিকসে দুটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনাজয়ী হাশিমোতোর এই লড়াই ছিল নিজের সাথেই। এইতো দুই মাস আগে আঙুলের চোটের কারণে জাপানের প্রধান টুর্নামেন্টের এনএইচকে ট্রফিতে অংশ নিতে পারেননি তিনি। যার ফলে শঙ্কা ছিল প্যারিস অলিম্পিকে হাশিমোতোর খেলা নিয়েও।
এরপর চোট সেরে দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেন তিনি। সামনে অলিম্পিক, দেশের জন্য পদক জিততে হলে নিতে হবে কঠিন প্রস্তুতি। তবে তার আর সময় কোথায়! দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ও ফুরিয়ে আসছিল হাশিমোতোর জন্য।
তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে সোনা জিতলেন এই ২২ বছর বয়সী জিমন্যাস্ট। পদক জিতে তিনি বলেন, ‘সবাই পরস্পরকে খ্যাপাটে হয়ে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছিলাম। এই জয় আমাদের বন্ধনকে আরও পোক্ত করেছে। সত্যি বলতে আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করেছিলাম প্রবলভাবে। ক্যাম্প যখন শেষ হলো, তখনও কল্পনা করতে পারছিলাম না যে কীভাবে এই ইভেন্টে অংশ নিতে পারি বা সোনা জিততে পারি।’
যে হাশিমোতোর ভুলেই দল হারতে বসেছিল, সেই তিনিই দলকে জেতালেন। পোমেল হর্স থেকে পড়ে যান হাশিমোতো। গ্যালারি থেকে দর্শকদের একসঙ্গে দীর্ঘশ্বাসের গভীর শব্দ ভেসে আসে তার হতাশাময় মুহূর্তটির প্রতিধ্বনি হয়ে। সেখান থেকে মাত্র ১৩.১০০ স্কোর পেয়ে গেল বারের রুপা জয়ের তিক্ত স্মৃতি মনে পড়ছিল এই জিমন্যাস্টের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে পরে যাবার পরে আমি নিজেকে বলছিলাম, ওহ না আমার কারণেই সোনা হারাতে যাচ্ছি আমরা।’
জাপান এর স্কোর যখন ২৫৯.৫৯৪। চীন জাপানের চেয়ে ৩ পয়েন্ট পেছনে। চীনের বাকি আছে মাত্র একজন জিমন্যাস্ট। সোনা জিততে হলে তাকে নিতে হবে ১৫.২৬৫ স্কোর। যা করে দেখাতে পারেনি চীনা জিমন্যাস্ট। আর তেতেই সোনা জয়ের স্বাদ পায় জাপান।