সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচটা হেরে গেলে শেষ ম্যাচটা হয়ে যেত স্রেফ নিয়ম রক্ষার। সেটা শেষমেশ ইংলিশরা হতে দেয়নি। লিয়াম লিভিংস্টোনের দারুণ পারফর্ম্যান্সে ভর করে তুলে নিয়েছে ৩ উইকেটের জয়। তাতে সিরিজেও ফিরে এসেছে সমতা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুটা ভালোই করে। তিনে নামা জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক করেন ফিফটি। ৩১ বলে ৫০ রান করে ফেরেন তিনি। তার আগে ম্যাথিউ শর্টের ২৮, ট্র্যাভিস হেডের ৩১, কিংবা তার পর জশ ইংলিসের ৪২ রানের ইনিংস, আর শেষ দিকে অ্যারন হার্ডির ২০ রানের ক্যামিওতে ভর করে অস্ট্রেলিয়া দাঁড় করায় ১৯৩ রানের পুঁজি।
অজিদের এমন তোপের মুখে পড়েও আলো কেড়ে নিয়েছিলেন লিভিংস্টোন। ৩ ওভার বল করে নেন ২ উইকেট, তাও মাত্র ১৬ রান খরচায়। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.৩৩ করে। এর চেয়ে ভালো ইকনমি এই ম্যাচে ছিল না আর কারো।
এরপর ব্যাট হাতেও দলকে তরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড যখন ৩৪ রানেই খুইয়ে বসেছে ২ উইকেট, ঠিক তখন তিনি এলেন ক্রিজে। সেখানে নেমে খেললেন ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস।
চতুর্থ উইকেটে জেকব ব্যাথেলের সঙ্গে গড়েন ৪৭ বলে ৯০ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ম্যাচটা ইংল্যান্ডে মুঠোয় চলে আসে তখনই। বেথেলের বিদায়ের পর ইংল্যান্ড কিছুটা বিপাকে পড়েছে বটে। তবে লিভিংস্টোন উইকেটে ছিলেন শেষের আগ পর্যন্ত।
তাতেই ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজে এখন ১-১ সমতা। আগামীকাল সন্ধ্যায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটা তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।