বিসিবি চাইলে এবার রাজি লিটন
এই সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়ার কথাই ছিল না তার। নাজমুল হাসান শান্তর ইনজুরিতে সুযোগটা এসে যায়। আর সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন লিটন কুমার দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। যেখানে উইকেটের পিছনে থেকে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন কুমার দাস।
কোচ থেকে শুরু করে দলের অনেক ক্রিকেটারই তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। আর লিটন নিজেও যে সময়টা উপভোগ করেছেন তার কথাতেই স্পষ্ট। তিনি এবার নিয়মিত নেতৃত্ব দিতেও তৈরি। সাফ জানালেন বিসিবি তাকে নিয়ে ভাবলে তিনি প্রস্তুত। যদিও এর আগে বিসিবির ভাবনায় থাকলেও তিনি সরে গিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত থেকে।
তবে এবার সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটন জানিয়ে দিলেন, ‘বিসিবি চাইলে স্থায়ীভাবে অধিনায়কত্ব নিতে রাজি। এখানে দ্বিমত থাকার কোনো কথা না। আমি এটা উপভোগও করছি। বোলাররা ভালো বোলিং করলে উইকেটের পেছন থেকে আমার জন্য কাজটা অনেক সহজ। আমাদের বোলাররা এখন নিজে থেকে জানে কীভাবে ফিল্ড ঠিক করতে হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে এবার সাফ জানালেন, পূর্ণ মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করতে তৈরি তিনি।
টি-টোয়েন্টির নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোটের কারণে খেলেননি তিনি। তার জায়গায় টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টিতে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় লিটনকে। নেতৃত্বে সফলতা পেলেও ব্যাট হাতে লিটন ছিলেন ব্যর্থ। তিন ম্যাচে মাত্র ১৭ রান করেন তিনি। শেষ ম্যাচে দারুণ শটে ৩টি বাউন্ডারি মারলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। মাত্র ১৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
উইন্ডিজে ওয়ানডেতেও ব্যর্থ। সব মিলিয়ে গত পাঁচ ম্যাচে তার রান ৫। আর টি-টোয়েন্টিতে ২০ ইনিংসে মাত্র ১৬.২৬ গড় ও ১০০.৬৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ৩০৯ রান।
ফর্মে ফিরতে কাজ করছেন বলেও জানিয়ে লিটন জানালেন। বলছিলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। তিনি সবার সঙ্গে খুবই উন্মুক্ত আলোচনা করেন এবং ছোটবেলা থেকে আমাদের চেনেন। আমার বিশ্বাস, খুব দ্রুতই ফর্মে ফিরতে পারব।’