এমন সব ম্যাচের জন্যই তো বদলানো হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফরম্যাটটা! আগের ফরম্যাটে বড় দলগুলোর দেখা হতো খুব কম। কিন্তু নতুন ফরম্যাটে প্রথম রাউন্ডেই বড় দলগুলোর দেখা হয়ে যেতে পারে। বড় ম্যাচ মানে যে বেশি রোমাঞ্চের নিশ্চয়তাও!
সেই তত্ত্ব প্রমাণ করে লিভারপুল তাদের প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গিয়েছিল এসি মিলানকে। যাদের বিপক্ষে নিজেদের শেষ চার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের দুটো খেলেছে অল রেডরা ।
লিভারপুলের সেই মিলানের ঘর সান সিরো যাত্রাটা বেশ ভালোই হলো। শুরুতে গোল হজম করে ফেলেছিল কোচ আর্নে স্লটের দল। তবে তার জবাবটা শিগগিরই দিল লিভারপুল। ম্যাচটা শেষ করল ৩-১ গোলে জিতে।
নিজেদের মাঠে শুরুতে একটা সুযোগ নষ্ট করলেও ৩ মিনিটে ঠিকই গোলের দেখা পেয়ে যায় মিলান। রোসোনেরিদের এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক। আলভারো মোরাতার পাস থেকে তার করা এ গোল লিভারপুলকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল দুই দিন আগে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছের হারের সে দুঃস্মৃতি।
তবে সেটা তারা পেছনে ফেলে একটু পরেই। ২৩ মিনিটে ফ্রি কিক পায় দলটা। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ডের সেট পিস থেকে গোল করেন ইব্রাহিমা কোনাতে। ম্যাচে সমতা ফেরে ১-১ গোলে।
বিরতির আগে এগিয়েও যায় লিভারপুল। কন্সটান্টিনোস সিমিকাসের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন আরেক লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক।
৬৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে ডমিনিক সোবোজস্লাইয়ের গোল ম্যাচের নিয়তি ঠিক করে দেয়। রক্ষণ থেকে দ্রুত আক্রমণে উঠে আসা কোডি গ্যাকপোর বাড়ানো বলে সোবোজস্লাইয়ের ভলি আরও এক গোল এনে দেয় লিভারপুলকে। আর তাতেই ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় অল রেডদের।