২০ ওভারে ১০৩ রান। খুব বড় কিছু কি? শারজায় ম্যাচ জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন এই রানের নিচে রাখতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ কি নিতে পারবে বাংলাদেশের বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে ইনিংসের মাঝামাঝি যে গতিতে সামনে বাড়ছিল বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সেই তেজ ধরে রাখতে পারেননি ব্যাটাররা। এক সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ অনায়াসেই ১২৫ বা ১৩০ রান করতে পারবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইনিংসটা আটকে গেল ১০৩ রানে।
এটাই বা কম কিসে? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই প্রথম বাংলাদেশের স্কোর একশ’র কোটা পার করলো। উইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৯৯ রানের। ২০১৬ বিশ্বকাপের ২০ মার্চ গড়া সেই স্কোরই ছিল ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ। সেই রান ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে শারজায়।
বাংলাদেশের ১০৩ রানের স্কোরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানটা এল অধিনায়ক নিগার সুলতানার জ্যোতির ব্যাটে। ৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরেন নিগার। মিডলঅর্ডার ব্যাটার সোবহানা মুস্তারির ব্যাট থেকে এলো ১৬ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে নিগার ও মুস্তারি ৪০ রান যোগ করেন।
২০ ওভারকে দুই ভাগ করলে উভয় ভাগে বাংলাদেশের রান যোগের মাত্রাটা হল প্রায় সমান সমান। প্রথম ১০ ওভারে জমা হলো ৫৮ রান। পরের ১০ ওভারে যোগাড় ৪৫। অথচ শেষের অংশে বেশি রান জমা হওয়ার কথা। উইকেটও তখন হাতে ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিখুঁত স্পিন বোলিংয়ের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি।