সবশেষ বিপিএলে মাশরাফি বিন মুর্তজা খেলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সে। আরেক মহীরুহ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ফরচুন বরিশালে, দলটার প্রথম শিরোপাজয়ে বড় ভূমিকাও রাখেন। সেই দুই জন রয়ে গেলেন নিজেদের আগের দলেই। এদিকে জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গেলেন তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশালে।
গেল আসরের শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুর দিকে পারফর্ম করতে পারছিলেন না, দলও পারফর্ম করতে পারছিল না আদৌ। শেষমেশ মৌসুমের মাঝামাঝিতে তিনি দল থেকে সরেও দাঁড়ান। তার ফিটনেস নিয়ে আছে প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আছেন লোকচক্ষুর আড়ালে। সেই তিনি পরের বিপিএলে খেলতে পারবেন কি না, সব মিলিয়ে তাই প্রশ্নবিদ্ধ জায়গা আছে অনেকগুলো। তবু তাকে দলে ভিড়িয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গেল বারের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে রাখতে পারেনি নিয়মের কাঁটাতারে আটকে গিয়ে। তবে ড্রাফটের প্রথম ডাকেই তারা মাহমুদউল্লাহকে দলে ভিড়িয়ে নিয়েছে। এরপরের ডাকে বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামকে দলে ভেড়ায় তারা। তৃতীয় ডাকে টানে নাজমুল হোসেন শান্তকে। বিদেশীদের ভেতরও সবচেয়ে বড় সাইনিং তারাই করিয়েছে, পাথুম নিসাঙ্কাকে দলে টেনেছে বরিশাল।
এদিকে জাতীয় দলের তারকাদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ গেছেন দুর্বার রাজশাহীতে। লিটন দাসের ঠিকানা হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালসে। খুলনা টাইগার্সে গেছেন হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানার দল রংপুর রাইডার্স।
প্রথম বিরতি পর্যন্ত দলগুলোর সাইনিং–
রাজশাহীতে– তাসকিন আহমেদ, জিসান আলম, ইয়াসির আলী রাব্বি, সাব্বির হোসেন, সাদ নাসিম, লাহিরু সামারাকুন
ঢাকা– লিটন দাস, হাবিবুর রহমান সোহান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আবু জায়েদ রাহী, সাইম আইয়ুব, আমির হামজা হোতাক
চট্টগ্রাম– শামীম পাটোয়ারী, পারভেজ হোসেন ইমন, খালেদ আহমেদ, আলিস আল ইসলাম, গ্রাহাম ক্লার্ক, থমাস ও’কনেল
খুলনা টাইগার্স– হাসান মাহমুদ, নাঈম শেখ, ইমরুল কায়েস, মাহিদুল অঙ্কন, মোহাম্মদ হাসনাইন, লুইস গ্রেগরি
রংপুর রাইডার্স– নাহিদ রানা, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, রকিবুল হাসান জুনিয়র, আকিফ জাভেদ, কারটিস ক্যামফার,
সিলেট স্ট্রাইকার্স– রনি তালুকদার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আল আমিন সিনিয়র, আরাফাত সানি, রাহকিম কর্নওয়াল, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি
ফরচুন বরিশাল– মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তানভির ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, রিপন মণ্ডল, জেমস ফুলার, পাথুম নিসাঙ্কা