শুরুর সেশনটা এর চেয়ে বাজে হতেই পারত না বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। প্রথম সেশন শেষের আগেই ৬০ রান তুলতে ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছে দলটা।
স্পিন, স্পিন, স্পিন এবং আরও স্পিন… ম্যাচ শুরুর আগে মিরপুরে সুরটা ছিল এমনই। তবে ম্যাচ শুরুর পর দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্পিন নয়, পেসেই দিশেহারা হয়ে পড়ল বাংলাদেশ!
আরেকটু স্পষ্ট করে বললে ভিয়ান মুলডারের দারুণ ওপেনিং স্পেলেই টপ অর্ডার নেই হয়ে গেছে স্বাগতিকদের। এরপর তাতে যোগ দিয়েছেন কাগিসো রাবাদাও, তাতে ৩০০তম টেস্ট উইকেটের দেখাও পেয়ে গেছেন তিনি।
শুরুটা হয় সাদমান ইসলামকে দিয়ে। মুলডারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন সাদমান। ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
এরপর মুমিনুল হকও শিকার বনে যান মুলডারের। তার বলে উইকেটের পেছনে কাইল ভেরেইনাকে ক্যাচ দেন তিনি, ফেরার আগে তিনি করেন ৫ বলে ৪ রান।
নাজমুল হোসেন শান্তও টেকেননি বেশিক্ষণ। মুলডারের অ্যাঙ্গেল বদলে ফল পায় প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক শান্ত ক্যাচ দেন মিড অফে থাকা কেশভ মহারাজকে।
২১ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধারে মনোযোগ দেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর মুশফিকুর রহিম। তবে মুশফিককে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন রাবাদা। বাংলাদেশ প্রথম এক ঘণ্টায় খুইয়ে বসে তাদের চতুর্থ উইকেট।
এরপর পালা আসে লিটন দাসের। রাবাদার শিকার বনে যান তিনিও। তার করা হার্ড লেন্থের ডেলিভারিটা লিটনের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে থাকা অভিষিক্ত ত্রিস্তান স্তাবসের হাতে। সেটা তিনি দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন। ৪৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে দল। পাঁচ উইকেটের সবকটাই যায় পেসারদের দখলে।
পরিস্থিতিটা সামলানোর চেষ্টা করছিলেন জয়, সঙ্গ দিচ্ছিলেন মিরাজ। তবে মিরাজও লাঞ্চের আগের শেষ বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন কেশভ মহারাজের। আর তাই লাঞ্চের আগেই ৬০ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে ঘোর বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (লাঞ্চ পর্যন্ত, প্রথমদিন): ৬০/৬ (২৬.১ ওভারে, মাহমুদুল হাসান জয় ১৫*, সাদমান ০, মুমিনুল ৪, নাজমুল ৭, মুশফিক ১১, লিটন ১, মেহেদি ১৩, মুলদার ৩/২২, রাবাদা ২/১৬, মহারাজ ১/১৬)।