‘তাদের পেসাররা আমাদের ওপর হামলে পড়বে। আমাদের ব্যাটাররা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে।’ –কথাগুলো বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের। তার কথার অর্ধেকটা ফলেছে, বাকি অর্ধেক ফলেনি। বাংলাদেশ অলআউট ১০৬ রানে। সিমন্সের কথার কোন অর্ধেক ফলেনি, তা আপনি বুঝতেই পারছেন!
উইকেটটাতে স্পিন ধরবে, তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। তবে উইকেটের ওপর খানিকটা ঘাসের আস্তরণ বিষয়টাকে খানিকটা ‘ট্রিকি’ করে তুলেছিল। শেষমেশ হলোও তাই। চতুর্থ ইনিংসে স্পিনের কথা ভেবে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসের কাছেই। দুই পেসার ভিয়ান মুলডার আর কাগিসো রাবাদা মিলে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। বাংলাদেশ ধসে গেছে তাতেই।
শুরুটা হয়েছিল সাদমান ইসলামকে দিয়ে। তাকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট উৎসবের সূচনা করেন ভিয়ান মুলডার। এরপর একে একে মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফেরান তিনি।
এরপর দৃশ্যপটে আসেন রাবাদা। মুশফিককে বোল্ড করে ছুঁয়ে ফেলেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। বলের হিসেবে দ্রুততম ৩০০ উইকেটের বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর লিটন দাসকেও ফিরিয়েছেন তিনি। ৪৫ রান তুলতে অর্ধেক ইনিংস হাওয়া হয়ে যায় বাংলাদেশের।
মঞ্চে এরপর আসেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। কেশভ মহারাজ তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক আর তাইজুল ইসলামকে। আরেক স্পিনার ড্যান পিয়েটের ঝুলিতে গেছে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। শেষে নাইম হাসানকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান রাবাদা। তাতেই বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১০৬ রানে।
শেষ ২০ বছরে এটি ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার নজির, ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ, যা দেশের মাটিতে দলের সর্বনিম্ন রান। আর ঘরের মাঠে নিজেদের টেস্ট যাত্রার শুরু থেকে এ পর্যন্ত পঞ্চম সর্বনিম্ন রানের ইনিংস এটি।