চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা যেন ফিরে এল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজার জায়গাটা এখানে নিলেন কাইল ভেরেইনা, সঙ্গে কখনও ভিয়ান মুলডার, কখনওবা ড্যান পিয়েট। লেজের ব্যাটারদের নিয়ে ভেরেইনা করলেন সেঞ্চুরি, আর সেটাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দিল চালকের আসনে।
এমন পরিস্থিতি শেষ অনেক দিনের পরিচিত দৃশ্য বাংলাদেশের। বছর শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্রুত ৫-৬ উইকেট তুলে নিয়েও বোলারদের ধুঁকতে হয়েছে লেজের ব্যাটারদের নিয়ে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও একই দৃশ্য।
এমন পরিস্থিতিতে কী করেন বোলাররা? হাসান মাহমুদ জানালেন, ‘আসলে টেস্টে এমনটা হয়, অহরহ হতে থাকে, আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে প্রেসারে রাখা।দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করা। এটাই আপনার হাতে আছে। এটাই আরকি!’
টেল এন্ডারদের বিপক্ষে পরিকল্পনাটা থাকে ব্যাটারদের মতোই, পরিষ্কার জানালেন হাসান, ‘তাদের রানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের উইকেটটাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে যে প্ল্যানে বল করা হয়, তাদের বিপক্ষেও প্লান থাকে। কিন্তু কখনও কখনও হয়ে যায়... ওরা রান করে ফেলছে, আমরা চেষ্টা করছি হচ্ছে না... চেষ্টা থাকতে হবে।’
এমন পরিস্থিতিতে খণ্ডকালীন বোলাররা অনেক সময় নিয়মিতদের চেয়ে বেশি সফল হন। তবে এই তত্ত্বে বিশ্বাস নেই হাসানের। তার কথা, ‘অকেশনাল দিয়ে বল করানোর চেয়ে তো মেইন বোলার দিয়ে বল করানো ভালো না? তারা উইকেট টেকিং ডেলিভারি অকেশনাল থেকে বেশি করতে পারে! অধিনায়ক যা করে ভালোর জন্যেই করে।’