মিতভাষী হিসেবে বেশ পরিচিতি আছে পেসার হাসান মাহমুদের। সে স্বভাবটা সংবাদ সম্মেলনে এলে ফুটে ওঠে আরও। আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন তিনি। প্রশ্নের জবাব দিলেন অল্প ভাষায়, তবে ঠিক জায়গা ধরেই বললেন তা।
পেসার কম নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ?
আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব সেম, উইকেট নেওয়া, সেটা একটা পেসার দুইটা পেসার যাই হোক। যেহেতু আমাকে নেওয়া হয়েছে, সেহেতু আমার দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে উইকেট টেকিং ডেলিভারি করা যায়। পার্টনারশিপ বোলিং করা যায়। আমার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওটা চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে একটা পেসার খেললে ভালো হতো না দুইটা। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমার মনে হয় তাইজুলও ভালো বল কর।
পেস বোলিং জুটি প্রসঙ্গে–
আমি ফিল্ডার অনুযায়ী বল করি। অপর দিক থেকে কেউ যদি মেইডেন ওভার নিতে চায়, বেস্ট বলটাই করতে হবে সবসময়। তো দুজনে কথা বলেই বল করা হয় আসলে, কীভাবে রান আটকানো যায়। বাউন্ডারি না দিয়ে, বাজে বল না করে বল করা যায়। স্পিন একপাশে, পেস একপাশে হলেও সমস্যা নেই। করা যায়। (দুই পাশে পেসার) না, এ নিয়ে চিন্তা থাকে না।
টেস্ট ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করছেন। এই ফরম্যাটটা ভালো বুঝছেন কি না?
আমি উপভোগ করছি। তবে লাল সাদা যাই বল হোক আমার কাজ দলকে জেতানো, পারফর্ম করা। ওটার জন্য লাল বলে অনুশীলন করি। লাইন লেন্থ সুইং নিয়ে প্রতিদিন কাজ করি।
দ্রুত ৫-৬ উইকেট তুলে নিয়ে এরপর বড় জুটি গড়ে ওঠে। তখন কী হয়?
আসলে টেস্টে এমনটা হয়, অহরহ হতে থাকে, আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে প্রেসারে রাখা।দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করা। এটাই আপনার হাতে আছে। এটাই আরকি!
৩ বছরে টেল এন্ডারদের বিপক্ষে বোলিং সবচেয়ে বাজে বাংলাদেশের–
তাদের রানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের উইকেটটাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে যে প্ল্যানে বল করা হয়, তাদের বিপক্ষেও প্লান থাকে। কিন্তু কখনও কখনও হয়ে যায়... ওরা রান করে ফেলছে, আমরা চেষ্টা করছি হচ্ছে না... চেষ্টা থাকতে হবে।
পার্ট টাইমার–
অকেশনাল দিয়ে বল করানোর চেয়ে তো মেইন বোলার দিয়ে বল করানো ভালো না? তারা উইকেট টেকিং ডেলিভারি অকেশনাল থেকে বেশি করতে পারে! অধিনায়ক যা করে ভালোর জন্যেই করে।
শুরু থেকে ভালো বোলিং করছেন, বোলিংয়ে ভালো করলেও আমাদের ব্যাটিংলাইন আপ খারাপ করছে। বোলার হিসেবে কতটা হতাশার?
খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তবে মন থেকে বিশ্বাস করি আমরা আবার একটা সময় ঘুরে দাঁড়াব। চিন্তা করি এর পরের দিন ভালো হবে। নিজেদের ব্যাটাররা ভালো খেলার আশা সবারই, স্কোর করব, সবাই মিলে একটা রান দাঁড় করাব। যেটাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারব। এভাবে চিন্তা করে আগানো উচিত।
আমাদের উইকেট পড়ে যাচ্ছে, ব্যাটিংয়ের এ হাল কেন?
আউট হওয়াটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। আমার মনে হয় যে আরও মনোযোগ দিয়ে ব্যাট করা, সেট হয়ে ব্যাটিং করাটা আরকি…
কালকের লক্ষ্য–
জয় মুশি অনেক ভালো একটা সময় পার করছে। কালকে ইন শা আল্লাহ চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে, জুটিটা যত বড় করতে পারে, পরের ব্যাটারদেরও একই ইন্টেনশন নিয়ে ব্যাট করা উচিত, যে আমরা কত বড় পার্টনারশিপ করতে পারব।
কত রানের লক্ষ্য সেফ?
আমার মনে হয় ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারব ইন শা আল্লাহ।
৪০০ করা সম্ভব বিশ্বাস করেন?
৩ সেশন ব্যাট করতে পারলে৪০০র কাছাকাছি যেতে পারব বলে আমি মনে করি। সম্ভব।