তৃতীয় দিনের শুরুতেও ১০১ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে এই রান তুলতেই হতো দলকে। তবে দিনের শুরুতে সেটাকে এখন কঠিনের চেয়েও বেশি কিছু বলেই মনে হচ্ছে। পঞ্চম ওভারেই খুইয়ে বসেছে দুই উইকেট। তাও আবার দুই সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট!
দিনের শুরুতে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প সম্প্রচারকারী টিভিতে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকটা বলই একটা ‘স্কোরিং অপরচুনিটি’, তো আমি এই মানসিকতাটাকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।’ সে কথাতে ‘উদ্বুদ্ধ’ হয়েই কি-না, অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়, ফুটওয়ার্কের বালাই ছিল না তাতে।
ফলাফল যা হওয়ার, তাই হলো। কাগিসো রাবাদা আগের দিন দুটো উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের। আজ দিনের শুরুতেই পেয়ে গেলেন আরও একটা। মাহমুদুল হাসান জয় ফিরলেন ৯২ বলে ৪০ রান করে।
একটা উইকেট প্রায়ই আরও উইকেটের দুয়ার খুলে দেয়। জয়ের বিদায় তা দিলও। আগের ইনিংসে রাবাদার ইনকামিং ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে দিয়েছিল মুশফিকের। জয়ের বিদায়ের এক বল পর তার পুনর্মঞ্চায়ন দেখা গেল দ্বিতীয় ইনিংসেও। ৩৯ বলে ৩৩ করে ফেরেন মুশফিক।
প্রতিবেদন লিখতে লিখতে লিটন দাসও গেলেন। কেশভ মহারাজের বলে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তার ব্যাটের কানায় লেগে তা চলে যায় কাইল ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নিয়ে সফলতা পায়। ১১২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের এখনও চাই ৯০ রান। স্বীকৃত ব্যাটারদের শেষ জুটিটা আছে ক্রিজে।