তিনি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইছে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আরও কিছুদিন অধিনায়কের দ্বায়িত্বে থাকুন নাজমুল হোসেন শান্ত। খোদ বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম পাশে আছেন অধিনায়কের। তবে তার বিকল্প কিছু নামও ভাসছে বাতাসে। এমন আলোচনা যখন তুঙ্গে তখন গণমাধ্যম এড়িয়ে গেলেন শান্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের আগের দিন আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দেখা গেল না শান্তকে। তার জায়গায় এলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
সংগতভাবেই শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গটা উঠল সংবাদ সম্মেলনে। তবে এনিয়ে তাইজুল ইসলাম জানালেন তিনি কিছুই জানেন না। বলছিলেন, ‘এই বিষয়ে আমি এখনও শুনিনি, এটা আমার পার্টও না। এ বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। ক্যাপ্টেন কে হবে এরকম টিম মিটিং কখনই হয়নি। আমি জানিই না এই বিষয়ে।’
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের হারের পরই জানা গেল-নেতৃত্বে থাকতে চান না শান্ত। সিরিজের মাঝপথে যখন অধিনায়ক এমন সিদ্ধান্ত নেন তখন সেটা দলের ওপর কতোটা প্রভাব পড়ে? এমন প্রশ্নের মুখে তাইজুল বলেন, ‘দেখুন, এটি টিম গেম। টিম কী করে ভালো থাকবে এটাই ইম্পরট্যান্ট। প্রভাব হয়ত কেউ কেউ নিতে পারে, কেউ কেউ নির্ভার থেকে নিজের কাজ করে যেতে পারে। আমি সবসময় নির্ভার থেকে নিজের কাজ করার চেষ্টা করি। দলে এসব যখন ঘটে জানি না কে কীভাবে নেয়, সবার মানসিকতা একরকম না। প্রশ্নটা গভীর, এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের মিটিংয়ে আমি বা খেলোয়াড়রা থাকে না। কোচ ক্যাপ্টেন কে হচ্ছে এটা আসলে আমাদের পার্ট না।’
অবশ্য তাইজুল এটাও জানালেন-তার সামনে নেতৃত্ব দেওয়া সুযোগ আসলে সেটা নিতে প্রস্তুত তিনি। এই অভিজ্ঞ স্পিনার বলেন, ‘যেহেতু ১০ বছর ক্রিকেট খেলছি তো পুরোটাই তৈরী!’
মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরইমধ্যে প্রথম টেস্টে হেরে চাপে রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল!