বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নিয়েছিলেন গত ১২ আগস্ট। সেদিনই তিনি গঠনতন্ত্র বদলানোর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এই বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিসিবি। সে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ গঠনতন্ত্র সংস্কারের জন্য উপ-কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিসিবিকে।
এই চিঠিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিসিবিকে উপ কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠানোর কথা বলা হয়। সঙ্গে এই কমিটিতে ক্রীড়া পরিষদের একজন প্রতিনিধি রাখারও পরামর্শও দেওয়া হয়।
ক্রিকেট বোর্ডকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠাতে বলা হয়েছে। এই কমিটিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একজন প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত রাখতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
এই বছরই গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনেছে বিসিবি। নাজমুল হাসান পাপনের সময়কালীন তিনবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করলেও মৌলিক দুর্বলতা ও স্বার্থের সংঘাত রয়েছে। এ কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রের সংস্কারের তাগিদ দিল এনএসসি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনএসসি জানায়-ক্রীড়াঙ্গনে সুশাসন আনয়নের সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং সময়ের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো ও পরিচালনার কৌশলসমূহ সংস্কার করা অপরিহার্য। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিদ্যমান নিয়মাবলী ও দায়িত্ববোধ নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সদস্যদের সমন্বয়ে প্রাথমিক পরামর্শ প্রাপ্তির নিমিত্তে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে যা সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী একটি স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একুশে প্রয়োজনীয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাশে থেকে তাদের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে ক্রীড়া সংস্কারের দৃষ্টিতে কাজ করবে।
এনএসসি চারটি প্রস্তাবনাও রেখেছে। যেখানে বলা হয়েছে-বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিদ্যমান অধিকারী অফিসার, প্রশিক্ষক, খেলোয়াড় ও অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম এবং সংস্থার মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ সদস্যের সমন্বয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। সংস্থার বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ববোধ নিশ্চিতকরণ এবং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বিধানের নিমিত্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন কর্তব্যের রূপান্তরের দৃষ্টিতে ক্রীড়া সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে সংযোগ রক্ষা করা হবে।
জানানো হয়েছে-বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থার স্থায়ী ক্রীড়া সংস্কার প্রক্রিয়া’র বিষয়েও উপ-কমিটি প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা প্রদান করবে। গৃহীত পদক্ষেপ এবং বিষয়াদি বার্ষিক রিপোর্ট’ প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিশেষজ্ঞ সদস্যদের অংশীদারি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।