বাংলাদেশ তখন ঘোর বিপদে। ৪৮ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে রীতিমতো কাঁপছিল স্বাগতিকরা। ফলো অন তো বটেই, নানা লজ্জার রেকর্ডের শঙ্কাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল।
তবে মুমিনুল হক আর তাইজুল ইসলাম মিলে সে শঙ্কা ধামাচাপা দিলেন আপাতত। লাঞ্চের আগে দুজন মিলে নবম উইকেটে তুললেন ৮৯ রান। তাতেই ৮ উইকেট খুইয়ে ১৩৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেল বাংলাদেশ।
আগের দিনই ৪ উইকেট ‘নেই’ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। এরপর আজ শুরুর এক ঘণ্টায় বাংলাদেশ খুইয়ে বসল ৪ উইকেট।
আজ দিনের শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন কাগিসো রাবাদার বলে। ফেরার আগে ১৭ বলে তিনি করেন ৯ রান।
এরপর মুশফিকুর রহিম ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। তিনি শিকার বনেন প্যাটারসনের, ক্যাচ দেন টনি ডি জর্জির হারে।
মেহেদি হাসান মিরাজ অবশ্য খাতা খুলেছিলেন। তবে বেশি এগোতে পারেননি, ১ রানে বিদায় নিয়েছেন রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এরপরই লড়াই শুরু করেন মুমিনুল হক। এই মাঠে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। সেটাই আজ বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে আবারও দেখালেন তিনি। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২০তম টেস্ট ফিফটি। ওপাশে তাইজুলও দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন তাকে। তাই সকালের সেশনটা আর কোনো বিঘ্ন ছাড়াই পার করে দেয় বাংলাদেশ।