দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলতে পেরেছিল মোটে ১৫৯ রান। সফরকারীরা ফলো অন করা নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও বিপাকে পড়ে গেছে স্বাগতিকরা। ৪৩ রান তুলতেই খুইয়ে বসেছে ৪টি উইকেট।
তৃতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনের শুরুটা হয়েছিল ৮২ রান করা মুমিনুলকে হারিয়ে। নবম উইকেটে ১০৩ রানের জুটি ভেঙে যায় তাতে। এরপর তাইজুল ইসলাম ফিরলে বাংলাদেশ ১৫৯ রানে অলআউট হয়।
আগের ইনিংসে মোটে ৪৬ ওভার ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। তাই ফলো অন করানো হবে কি না, সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবতে হয়নি সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
সে সিদ্ধান্ত যে ভুল কিছু ছিল না, বোলাররা তা প্রমাণ করলেন। শুরুতে ‘জীবন’ পেলেও সাদমান ইসলাম তা কাজে লাগাতে পারেননি। প্যাটারসনের শিকার হয়ে আবারও ফিরেছেন এক অঙ্কেই।
এখন পর্যন্ত দুই অঙ্কে যাওয়া একমাত্র ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন এরপর। সেনুরান মুথুসামির শিকার বনেন তিনি। আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা মুমিনুল হক কেশভ মহারাজকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বাউন্ডারি লাইনে, এরপর ফেরেন ০ রানে।
১৫তম ওভারের শেষ বলে মুথুসামিকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন জাকির হাসান। সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষণা আসে, দ্বিতীয় সেশনটা শেষ এখানেই। এই সেশনেও বাংলাদেশ রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ ৬ উইকেট খুইয়েছে, রান তুলেছে মোটে ৬৫।