গোটা বিশ্ব এগিয়ে গেলেও কিছুতেই পাল্টাচ্ছে না বাংলাদেশের সাঁতারের দৃশ্যপট। এখানে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা চলছে সেই পুরোনো আমলের হ্যান্ড-টাইমিংয়ে। এবারও একই রাস্তায় হেঁটে আয়োজিত হবে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা।
আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সাঁতার উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংব্দ সম্মেলনে স্কোরবোর্ড জটিলতার প্রসঙ্গটি এসেছে ঘুরে ফিরে। যুগ্ম সম্পাদক সেলিম মিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মাননীয় উপদেষ্টা সাঁতারের সমস্যার ব্যাপারে অবগত। আমরা আশাবাদী কয়েক মাসের মধ্যে এটি সমাধান হবে।’
৯ থেকে ১২ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত “ম্যাক্স গ্রুপ ৩৩তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতা মিরুপরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ প্রায় ৫২টি টীমের প্রায় ৫৫০ জন খেলোয়াড়, প্রায় ৮৫ জন টীম অফিসিয়াল ও ১০০ জন মিট অফিসিয়ালসহ সর্বমোট ৭৩৫ জন অংশ নেবে।
বিকেএসপি ও সকল সার্ভিসেস দল ছাড়া সকল দলের সাঁতারু ও অফিসিয়ালের যাতায়াত, থাকা ও খাওয়ার খরচ বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন বহন করবে। সুইমিং কমপ্লেক্সের ডরমেটরী, ক্রীড়া পল্লী-১ ও ক্রীড়া পল্লী-২ তে সাঁতারু ও অফিসিয়ালদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাঁতারে (পুরুষ-১৯টি ও মহিলা-১৯টি) মোট ৩৮টি, পুরুষ বিভাগে ডাইভিংয়ে ৩টি এবং ওয়াটারপোলো ১টি ইভেন্ট রয়েছে। বিজয়ী সাঁতারুদের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হবে। দলগত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলকে ট্রফি দেয়া হবে। এছাড়াও সেরা সাঁতারু পুরুষ ও নারীকে ট্রফি প্রদান করা হবে।
জাতীয় সাঁতার উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া, আবদুল হামিদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল হোসেন বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের প্রতিনিধি জনাব ইব্রাহিম খলিল পলাশ।