প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ করে দিয়েছিল আফগান স্পিন। রশিদ খানরা আজও সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। আফগান স্পিন বিভাগকে আজ বেশ সমঝেই খেলছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
বাংলাদেশের রানের গতিও তাই কমে এসেছে অনেকটাই। তবে তাতে শেষমেশ লাভ হলো কি? ৪১তম ওভারের শুরুতে বাংলাদেশ খুইয়ে বসেছে ৬ উইকেট। তুলেছে ১৮৪ রান।
প্রথম ফিফটিটা ঠিক ৫০ বলে তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দলের রান তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে যখন, তখন বল লেগেছে ১৪টি বেশি। তবে তৃতীয় ফিফটির মতো মন্থর কোনো ফিফটিই ছিল না। ১০০ থেকে ১৫০তে পৌঁছুতে খরচ করতে হয়েছে ৮০ বল।
শুরুটা ভালো করলেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খোলসে ঢুকে গেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি করেছেন ৭৬ রান, ১১৯ বল খেলে। বিদায় নিয়েছেন খারোতের বলে।
এই ইনিংস খেলার পথে তিনি ওপাশে সৌম্য সরকারের ৩৫ এর পর আরও দুই সঙ্গীকে ফিরতে দেখেছেন স্পিন বিষে নীল হয়ে। মিরাজ আউট হয়েছেন রশিদ খানের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে। ওদিকে বেশ রয়ে সয়ে খেলার পর নাঙ্গেলিয়া খারোতেকে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।
শান্তর বিদায়ের একটু পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন খারোতেকে। ৪১তম ওভার থেকে এসেছে ১ রান, বাংলাদেশ খুইয়েছে দুই উইকেট।
মোহাম্মদ নবি বাদে আফগান সব স্পিনার রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৪ এরও কম। নবি সবচেয়ে 'খরুচে', ১০ ওভার থেকে রান দিয়েছেন ৪৯। আর এ সবকিছুর সম্মিলিত ফল, দারুণ শুরুর পর বাংলাদেশের রানের চাকা অনেকটাই থেমে যাওয়া।