পুঁজিটা ২৫২ রানের। যা শারজাহর ব্যবহৃত উইকেটে বেশ লড়াকুই বলতে হবে। তবে এমন পুঁজি নিয়েও শুরুটা ভালো করতে হতো বাংলাদেশকে। বোলাররা তা এনে দিয়েছেন দলকে। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে দিয়েছেন ৪০ রান। তাসকিন আহমেদ আবার তুলে নিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেটও।
তাসকিনের শুরুটা ভালো হয়নি অবশ্য। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের একটা চার আর দুটো ওয়াইড দিয়ে হজম করেছিলেন ৯ রান।
এরপরের ওভারেই তিনি সামলে নেন। দারুণ মুভমেন্টে ভুগিয়েছেন আফগান ওপেনারদের। সে ওভারের তৃতীয় বলে তুলে নেন গুরবাজের উইকেটও।
তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। সেখানে সৌম্য সরকারও ভালো কাজ দেখিয়েছেন। অনেকটা লাফিয়ে উঠে তিনি বলটা তালুবন্দি করেছেন। তাতে গুরবাজ ফেরেন ৮ বলে ২ রান করে। ১৮ রানে প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে আফগানরা।
অভিজ্ঞ রহমত শাহ আর তরুণ সেদিকউল্লাহ আতাল মিলে এরপর পরিস্থিতিটা সামলানোর চেষ্টা করেছেন। যদিও তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলামের মুভমেন্ট ভুগিয়েছে তাদের। একাধিকবার এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনও তুলেছিলেন দুই বোলার, তবে আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। বাংলাদেশও ভেবে চিন্তে রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
উইকেটের সংখ্যা আরও একটা বাড়তে পারত। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আক্রমণে আসা মেহেদি হাসান মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রহমত শাহ। তবে জাকের আলি সেটা তালুবন্দি করতে পারেননি।
তবে পাওয়ারপ্লেতে আফগানদের চড়ে বসতে দেয়নি। শুরুর দশ ওভার শেষ হয়েছে তাই খানিকটা স্বস্তি নিয়ে।