বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ২৬ পরিচালকদের মধ্যে থেকে ১৫ জনই নেই। কেউ পদত্যাগ করেছেন। কেউ নিরুদ্দেশ হয়ে আছেন এখন পর্যন্ত। বিধি মোতাবেক কোনো কারণ না দেখিয়ে বেশ কয়েকজন বোর্ড সভায় অনুপস্থিত। এসব জটিলতায় পড়ে বোর্ডের ১৫ জন পরিচালকের নাম কাটা পড়েছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে এদের জায়গায় এখনো কোনো রিপ্লেসমেন্ট নেই। ব্যতিক্রম হয়ে আছেন কেবল ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এই দুজনেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এর মনোনীত পরিচালক হয়ে বিসিবিতে এসেছেন রিপ্লেসমেন্ট হয়ে।
ফারুক আহমেদ সভাপতি এবং ফাহিম মুলত ‘সেকেন্ড ম্যান’ হয়ে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন। আগের সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের আমলের বেশ কয়েকজন পরিচালক অবশ্য এখনো বিসিবিতে আছেন। তবে তাদের অনেকেই কেবল টিকে আছেন, ব্যাটে ‘রান’ নেই! টিভি পর্দা থেকে শুরু করে আইসিসির সভা, টুর্নামেন্টের ফিতা কাটা এমনকি বিপিএলের শীর্ষকর্তা এমন পদেও কেবল সেই দুজন, ফারুক ও ফাহিম।
এই পরিস্থিতিতে পরিচালিত বর্তমান বিসিবি সম্পর্কে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নিলাম তখন বিসিবির পরিচালকগণ ছিল না, কারোর সঙ্গে যে পরামর্শ করব সেরকম কেউও ছিল না। তো স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপআলোচনার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র ও আইসিসির গাইলাইন মেনে আমরা একটা পরিবর্তন এনেছি। এটা বাস্তব যে জোড়াতালি দিয়ে চলছে, অনেক ডিরেক্টর এখন নেই। কীভাবে নতুন ডিরেক্টর নেওয়া যায়, বিসিবির গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে ডিরেক্টর আমাদের নিতে হবে।’
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিন উপলক্ষে নিজের বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ এই মন্তব্য করেন। বিসিবির এই জটিলতায় পড়ার কারণ হিসেবে তিনি মুলত রাজনীতিকে দায়ি করেন। ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতির বাইরে রাখার অঙ্গীকারের কথা অনেকে বলে গলা ফাটালে চেয়ারে বসার পর তাদের আর সে কথা মনে থাকে না। নাজমুল হাসান পাপনের বিসিবির কমিটিও সেই রাজনীতিকরণের দোষে দুষ্ট। সেই কারণেই আজকের বিসিবি এমন সঙ্কটে। আসিফ তার বক্তব্যে বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনকে যেভাবে রাজনৈতিককরণ করা হয়েছে, এটা খুব দুঃখজনক। বিসিবিতে তো ধারাবাহিকতা ভঙ্গের কোনো কারণ ছিল না। যদি ক্রীড়াকে রাজনৈতিককরণ না করা হতো, রাজনৈতিক লোকজন না থাকত, তাহলে দেশে একটা পরিবর্তন হলেও বিসিবি তার মতো থাকতে পারতো। ধারাবাহিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতো।’