উইন্ডিজের ‘আশা’ ছিল ৪০০ রানের, আগের দিন শেষে মিকাইল লুইস এসে বলে গিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। স্বাগতিকদের সে আশা তো পূরণ হলোই, জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে তারা ইনিংস ঘোষণা করল আরও ৫০ রান বেশি তুলে।
তার জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৪০ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসেছে বাংলাদেশ। তাতে দ্বিতীয় দিনটা দল শেষ করল কোণঠাসা হয়ে, ৪১০ রানে পিছিয়ে; ফলো অন এড়াতেও এখন দলের চাই ২১১ রান।
শনিবার দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল ভালোই। দ্বিতীয় নতুন বলে হাসান মাহমুদ তুলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। তাতে উইন্ডিজকে অলআউট করাটাকে সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু তখনই দেয়াল তুলে দাঁড়ান জাস্টিন গ্রিভস, সঙ্গী হিসেবে পান কেমার রোচকে। দুজন মিলে অষ্টম উইকেটে তুলে বসেন ১৪০ রান। তাতেই ৪০০ পেরোয় স্বাগতিকরা। ৪৭ রান করা রোচকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন হাসান। নবম উইকেট জুটিতে আবার গ্রিভস প্রতিরোধ গড়েন। এবার জেডেন সিলসকে সঙ্গে নিয়ে তোলেন ৩৯ রান। তাকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।
তবে উইন্ডিজকে শেষমেশ অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। গ্রিভস ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৫০ রান তুলতেই উইন্ডিজ ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ৯ ওভারে উইকেট খোয়ায়নি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার বিদায় নিলেন এর পরই। দলীয় ২০ রানে জাকির হাসান পেসার সিলসের করা দশম ওভারের শেষ বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন। ৩৪ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
পরের ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার বনেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে স্লিপে আলিক এথানেজের হাতে ক্যাচ তোলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ফেরার আগে ৩৩ বলে ৫ রান করেন জয়। বাংলাদেশ তাদের দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসে দলীয় ২১ রানে।
এরপর দেয়াল গড়ার দায়িত্বটা বর্তায় মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দিপুর কাঁধে। দুজন মিলে আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে খেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা সামলেছেনও ভালোভাবে, দিন শেষের আগে খেলেছেন ৫৪ বল, রান তুলেছেন ১৯টি। তাদের জুটিই বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছে এখন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন শেষে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ১৪৪.১ ওভারে ৪৫০/৯ ডিক্লে. (গ্রিভস ১১৪, লুইস ৯৭, এথানেজ ৯০, রোচ ৪৭; হাসান ৩-৮৭, মিরাজ ২-৭৬)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২০ ওভারে ৪০/২ (জয় ৫, জাকির ১৫, মুমিনুল ৭*, শাহাদাত ১০*; সিলস ১/১৫, আলজারি ১/২)।