পুঁজিটা খুব বড় ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে বাংলাদেশ মোটে ১৩০ রানের লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিতে পেরেছিল। তবে বোলারদের দারুণ পারফর্ম্যান্স, সঙ্গে লিটন দাসের দারুণ অধিনায়কত্বে ভর করে সেটাও যথেষ্টই হয়ে গেল সফরকারীদের। তাতে ২৭ রানের জয় পেয়েছে দল, সিরিজটাও নিশ্চিত করে ফেলেছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
মাত্র ১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে যেমন আক্রমণ শাণানোর কথা ছিল, তাসকিন আহমেদরা তাই করেছেন। তাসকিন নিজের প্রথম ওভারেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। এরপরও শেখ মাহেদি হাসান পাওয়ারপ্লেতে বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করেন, তুলে নেন একটি উইকেট। যা ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপকে আরও চাপের মুখে ফেলে দেয়।
বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে তাসকিন ছিলেন অনন্য, তার বোলিং ফিগার ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব এবং রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। বিশেষ করে ১৭তম ওভারে রিশাদের জোড়া আঘাত ক্যারিবিয়ানদের জয়ের আশা একেবারে শেষ করে দেয়। শেষ উইকেট হিসেবে তাসকিন আকিল হোসেনকে আউট করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮.৪ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায়।
প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই ঘটেছে এই ম্যাচে। তবে সে ম্যাচের সঙ্গে এবারের পার্থক্য, সেদিন ফিফটি করার মতো রভম্যান পাওয়েল ছিলেন, আজ তাদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটাই ছিল মোটে ৩২ রানের। তিনি বাদে উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন আপে আর মাত্র ২জন দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। তাতেই আঁচ মেলে বাংলাদেশের বোলিং কেমন ছিল আজ।
এর আগে, বাংলাদেশের ব্যাটিং অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি। শামীম হোসেন ছাড়া কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৭ বলে ৩৫ রান করা শামীমের ক্যামিও ইনিংসটি দলের সংগ্রহ ১২৯ রানে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। বাজে শুরুর ফলে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলতে পারে দল, তবে শেষ দশ ওভারে এসেছে ৮৪ রান, তার পুরো কৃতিত্বই শামীমের। সে পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ জয় এনে দিয়েছেন বোলাররা।
এই ঐতিহাসিক জয়ের ফলে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে। এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজটা নিশ্চিত করে ফেলেছে দল। এটা উইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল। তবে সেটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।